বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের খরচের হিসাব

সর্বশেষ আপডেট:

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে যত টাকা রিচার্জ করি তত টাকার বিদ্যুৎ আমরা ব্যবহার করতে পারি না। মিটার ভাড়া, ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ হিসেবে কিছু টাকা কেটে নেয়। সংযোগের প্রকার, সর্বশেষ রিচার্জের সময় ইত্যাদি ভেদে কর্তিত টাকার পরিমাণ ভিন্ন হয়। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট নয়। যেমন, ১০০০ টাকা রিচার্জে ৮০০ টাকার বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, এ রকম নির্দিষ্ট নয়। তবে সর্বশেষ রিচার্জের সময় জানা থাকলে, ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ হিসেব করে বের করা সম্ভব।

১। প্রিপেইড মিটারে প্রযোজ্য চার্জ ও অন্যান্য খরচের খাতসমূহ:

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জে কয়েক ধরনের চার্জ কাটা হয়। এছাড়া ০.৫% হারে রিবেট প্রদান করে। অন্যদিকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করলে, মিটারে টাকা রিচার্জ করার পর সেটা সমন্বয় করা হয়।

১.১ এনার্জি কস্ট/চার্জ (Energy Cost/Charge)

মূলত এনার্জি কস্টের টাকার অনুপাতে আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারি। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ট্যারিফ রেট অনুসারে গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার হতে ধীরে ধীরে টাকা কেটে নেয়া হয়। এভাবে প্রতি রিচার্জে সর্বোচ্চ যতো টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবো সেটাই হলো এনার্জি কস্ট।

এনার্জ চার্জ ব্যতীত অন্যান্য চার্জ যেমন, মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট ইত্যাদি Pre-Payment Metering System Software দ্বারা রিচার্জ/ভেন্ডিং করার সময় কেটে নেয়া হয়। আর এনার্জি চার্জ বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার হতে কাটা হতে থাকে।

১.২ মিটার ভাড়া (Meter Rent)

মিটার ভাড়া মাসে একবার কাটা হয়। টাকার পরিমাণ মিটারের ধারণক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। যেমন, “এলটি-এঃ আবাসিক” শ্রেণির গ্রাহকের ক্ষেত্রে, সিঙ্গেল ফেজ মিটারের জন্য মাসে ৪০ টাকা এবং থ্রি-ফেজ মিটারের জন্য মাসে ২৫০ টাকা দিতে হয়। বাসাবাড়িতে সাধারণত সিঙ্গেল ফেজের মিটার ব্যবহৃত হয়।

বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির নিজস্ব অর্থে স্থাপিত মিটারের ক্ষেত্রে মিটার ভাড়া প্রযোজ্য। অন্যদিকে গ্রাহক যদি এককালীন অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির মিটার ও মিটার স্থাপনের যাবতীয় খরচ বহন করে থাকেন, কিংবা গ্রাহক নিজে মানসম্মত মিটার সরবরাহ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে মিটার ভাড়া প্রযোজ্য হবে না।

১.৩ ডিমান্ড চার্জ (Demand Charge)

ডিমান্ড চার্জ হলো একধরনের ফি যা গ্রাহককে তার চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের ক্রমাগত সরবরাহ বজায় রাখার জন্য ধার্য করা হয়। ডিমান্ড চার্জ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে গ্রাহকের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সীমা কিংবা চুক্তিবদ্ধ লোডকে (কিলোওয়াট) বিবেচনায় নেয়া হয়। বিদ্যুতের ট্যারিফ রেটে একটি নির্দিষ্ট হারে ডিমান্ড চার্জ নিধারিত রয়েছে এবং অনুমোদিত লোডের সাথে গুণ করে ডিমান্ড চার্জের মোট পরিমাণ হিসাব করা হয়।

ডিমান্ড চার্জকে বাস বা ট্রেনের টিকেটের সাথে তুলনা করা যায়। টিকেট কাটার মাধ্যমে আমরা বাস বা ট্রেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক সিটের অধিকার লাভ করি। এখন আমার যাই বা না যাই, বসে যাই কি দাঁড়িয়ে যাই, শেষ গন্তব্য পর্যন্ত যাই কিংবা মাঝ পথে নেমে যাই, আমাদের পুরো টাকাটাই পরিশোধ করতে হয়। তেমনি আমাদের বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত মিটারে সাধারণত ১, ২ কিংবা ৩ কিলোওয়াট লোড অনুমোদন নিয়ে রাখি। এখন আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করি বা না করি, কম করি বা বেশি করি, মিটারের কিলোওয়াট অনুযায়ী ডিমান্ড চার্জ প্রদান করতে হয়।

“এলটি-এঃ আবাসিক” শ্রেণির গ্রাহকের ক্ষেত্রে, প্রতি মাসে অনুমোদিত প্রতি কিলোওয়াট ৪২ (বিয়াল্লিশ) টাকা হারে ডিমান্ড চার্জ প্রদান করতে হয়। যেমন, দুই কিলোওয়াট মিটারের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ২×৪২ = ৮৪ (চুরাশি) টাকা কাটবে। এটি আগে পঁয়ত্রিশ টাকা ছিলো। মিটার ভাড়ার মতোই ডিমান্ড চার্জও প্রতিমাসে একবার কাটা হয়।

ডিমান্ড চার্জের কারণে, যারা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তাদের বিদ্যুৎ বিলও বেশি হয়। তাই এটি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য একটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে ডিমান্ড চার্জের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল এবং অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ আদায় করে।

১.৪ ভ্যাট (VAT)

ভ্যাট (VAT) শব্দের পূর্ণরূপ হলো Value Added Tax. বাংলায় একে মূল্য সংযোজন কর বা সংক্ষেপে মূসক বলা হয়। বিদ্যুৎ বিলের ওপর সরকার কর্তৃক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য করা রয়েছে।

১.৫ রিবেট (Rebate)

রিবেট হলো এক ধরনের প্রণোদনা। অর্থাৎ গ্রাহক যেনো প্রিপেইড মিটারের দিকে আকৃষ্ট হয় এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত হারে টাকা ফেরত প্রদান করা হয়। বাস্তবে কোনো নগদ টাকা প্রদান করা হয় না, বরং রিবেটের টাকার পরিমাণ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়। বর্তমান ট্যারিফ অনুযায়ী (ফেব্রুয়ারি ২০২৪) প্রিপেইড মিটার গ্রাহকগণ ভ্যাট ও মিটার ভাড়া ব্যতীত নিট বিলের ওপর ০.৫% হারে রিবেট প্রাপ্ত হন। আগের ট্যারিফগুলোতে রিবেটের পরিমাণ ১% ছিলো।

১.৬ ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স (Emergency Balance)

প্রিপেইড মিটারে টাকা শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স চালু করে কিছু টাকা ধার নেয়া যায় এবং জরুরিভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়। সেক্ষেত্রে মিটারে টাকা রিচার্জ করার পর ব্যবহৃত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সমন্বয় করা হয়।

২। প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ টোকেন:

আমি সাধারণত ১০০০ টাকা করে রিচার্জ করি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ১০০০ টাকা রিচার্জ করে ৫৮৪.৫ টাকা মিটারে যোগ হয়েছে। এতে ৪৭.৬২ টাকা ভ্যাট, ১২০ টাকা মিটার ভাড়া এবং ২৫২ টাকা ডিমান্ড চার্জ হিসেবে কেটে রেখেছে। আর ৪.১২ টাকা রিবেট হিসেবে প্রদান করেছে। এসবের হিসাব নিচে দেয়া হলো।

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ টোকেন

৩। মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট ও রিবেট হিসাব করা:

৩.১ ভ্যাট (৫%): ৪৭.৬২ টাকা

রিচার্জকৃত টাকার পরিমাণকে ৫ দিয়ে গুণ করে ১০৫ দিয়ে ভাগ করলে ভ্যাটের পরিমাণ পাওয়া যায়।

১০০ টাকায় ভ্যাট ৫ টাকা হলে, ১০০০ টাকায় ৫০ টাকা হওয়ার কথা। পরে বুঝলাম আমার হিসাবে সমস্যা হয়েছে। উল্টোভাবে হিসাব মিলাই…

৫০ টাকা ভ্যাট কাটা হলে, আমি সার্ভিস পাচ্ছি ৯৫০ টাকার। ৯৫০ টাকার ৫% হলো ৪৭.৫০ টাকা, ৫০ টাকা নয়। যদি ৫০ টাকা ভ্যাট কাটা হতো তবে ২.৫০ টাকা অতিরিক্ত ভ্যাট হিসেবে কাটা পড়তো।  অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ভ্যাটের টাকার উপর আবার ভ্যাট ধার্য হতো, যা স্পষ্টতই ভুল হিসাব। সঠিক হিসাব হলো, যত টাকার সার্ভিস পাচ্ছি এবং সার্ভিসের মূল্যের ৫% ভ্যাট মিলিয়ে ১০০০ টাকা হবে। এখন বীজগণিতের সাহায্যে হিসাব করি।

ধরি, আমি x টাকার সার্ভিস পাচ্ছি।
তাহলে, x + (x এর 5%) = 1000
=> x + (5x/100) = 1000
=> 105x/100 = 1000
=> x = 952.38
অর্থাৎ, আমি ৯৫২.৩৮ টাকার সার্ভিস পাবো।
আর ভ্যাট হবে (১০০০ – ৯৫২.৩৮) = ৪৭.৬২ টাকা

আবার, পাটীগণিতের সাহায্যে ঐকিক নিয়মেও হিসাবটি করতে পারি।
১০০ টাকা সার্ভিসে ভ্যাট ৫ টাকা
সার্ভিস ও ভ্যাট মিলিয়ে ১০৫ টাকা হলে, ভ্যাট ৫ টাকা
১ টাকা হলে ভ্যাট ৫/১০৫ টাকা
১০০০ টাকা হলে ভ্যাট ৫ * ১০০০ / ১০৫ টাকা
= ৪৭.৬১৯০৪৭… টাকা
≈ ৪৭.৬২ টাকা এবং সার্ভিস = (১০০০ – ৪৭.৬২) = ৯৫২.৩৮ টাকা

৩.২ মিটার ভাড়া (৳৪০/মাস): ১২০ টাকা

যত মাসের মিটার ভাড়া বাকি, সেটাকে ৪০ দিয়ে গুণ করতে হবে।

কেউ যদি মাসে একাধিকবার রিচার্জ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে শুধু প্রথমবার রিচার্জে ঐ মাস পর্যন্ত বকেয়া মিটার ভাড়া কাটবে। পরবর্তী রিচার্জগুলোতে কোনো মিটার ভাড়া কাটবে না।

আমি সর্বশেষ রিচার্জ করেছিলাম ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। অর্থাৎ ডিসেম্বর’২৩ পর্যন্ত মিটার ভাড়া পরিশোধ করা ছিলো। এরপর আমার আর রিচার্জ করার প্রয়োজন পড়েনি। তাই শুধু ফেব্রুয়ারি মাসের মিটার ভাড়া কেটেছে।

এতে জানুয়ারি থেকে মার্চ – এই তিন মাসের মিটার ভাড়া বকেয়া হয়েছে। তাই এই রিচার্জে তিন মাসের মিটার ভাড়াটাও কেটে রেখেছে।

৩.৩ ডিমান্ড চার্জ (প্রতি কিলোওয়াট ৳৪২/মাস): ২৫২ টাকা

মিটারটি যত কিলোওয়াটের, সেটাকে ৪২ দিয়ে গুণ করতে হবে। এই গুণফলকে আবার যতো মাসের ভাড়া বাকি, ততো দিয়ে গুণ করতে হবে।

আমার মিটারটি দুই কিলোওয়াটের। ফলে ডিমান্ড চার্জ হিসেবে এক মাসে ২×৪২ = ৮৪ (চুরাশি) টাকা হয়। মাসে ৮৪ টাকা করে তিন মাসের ডিমান্ড চার্জ কেটেছে ২৫২ টাকা। আগে মাসিক প্রতি কিলোওয়াট ৩৫ টাকা হিসেবে কাটতো।

কেউ যদি মাসে একাধিকবার রিচার্জ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে শুধু প্রথমবার রিচার্জে ঐ মাস পর্যন্ত বকেয়া ডিমান্ড চার্জ কাটবে। পরবর্তী রিচার্জগুলোতে কোনো ডিমান্ড চার্জ কাটবে না।

৩.৪ রিবেট (০.৫%): -৪.১২ টাকা

রিচার্জকৃত টাকার পরিমাণ হতে ভ্যাট ও মিটার ভাড়া বিয়োগ করতে হবে। বিয়োগফলকে ২০২ দিয়ে ভাগ করলে রিবেটের পরিমাণ পাওয়া যাবে।

যেমন, আমার ক্ষেত্রে, রিচার্জ করেছি ১০০০ টাকা। মিটার ভাড়া ১২০ ও ভ্যাট ৪৭.৬২ বাদে অবশিষ্ট থাকে ৮৩২.৩৮ টাকা। এটাকে ২০২ দিয়ে ভাগ করলে পাই ৪.১২০৬৯৩… বা ৪.১২ টাকা (প্রায়)। রিবেটের টাকাটা হিসেবে যোগ হবে।

২০২ সংখ্যাটা কীভাবে আসলো, সে হিসাবটা এখন আমরা করবো।

আগেই আমরা জেনেছি যে, ভ্যাট ও মিটার ভাড়া বাদ দিয়ে তারপর প্রাপ্ত বিলের ওপর রিবেটের হিসাব করতে হবে।

ধরি, রিবেটের পূর্বে আমাদের বিল x (ভ্যাট ও মিটার ভাড়া ব্যতীত) এবং নিট বিল y.
তাহলে রিবেট হবে y এর ০.৫% = y/200

আমাদের ক্ষেত্রে,
নিট বিল + রিবেট = রিবেটপূর্ব বিল
=> নিট বিল + নিট বিলের ০.৫% = রিবেটপূর্ব বিল
=> y + y/200 = x
=> 201y = 200x
=> y = 200x/201

সুতরাং রিবেট = নিট বিলের ০.৫%
= 200x/201 এর 0.5%
= (200x/201) × (1/200)
= x/201

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, রিবেটের পরিমাণ পেতে হলে প্রকৃতপক্ষে ২০১ দিয়ে ভাগ করতে হতো। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ হতে প্রাপ্ত টোকেনের সাথে মেলাতে হলে ২০২ দিয়ে ভাগ করতে হচ্ছে। সেজন্য আমরা রিবেট হিসেবে কিছু পয়সা কম পাচ্ছি।

আমার মনে হয়ে, আগের ট্যারিফ থেকে বর্তমান ট্যারিফে রিবেটের পরিমাণ ১% হতে ০.৫% এ কমাতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সফটওয়্যারে কিছু গড়মিল হয়ে গিয়েছে। ১% এর ক্ষেত্রে ১০১ দিয়ে ভাগ দিতে হতো, ০.৫% দেখে হয়তো কোনো হিসাব না করেই সেটা সরাসরি ২০২ বসিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি নিজেও হিসাব করার আগে ২০২ হবে ভেবেছিলাম। পরে হিসাব করে দেখলাম সংখ্যাটা ২০১ হবে।

৪। রিচার্জে এনার্জি কস্ট বা ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ বের করার নিয়ম:

আগের অনুচ্ছেদগুলোতে আমরা ভ্যাট, মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ ও রিবেটের পরিমাণ হিসাব করেছি। ১০০০ টাকা রিচার্জে ভ্যাট কাটা হয়েছে ৪৭.৬২ টাকা। সর্বশেষ রিচার্জে পর দুই মাস রিচার্জ না করায় তৃতীয় মাসে মোট তিন মাসের মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ বকেয়া হয়েছে এবং এদের পরিমাণ যথাক্রমে ১২০ টাকা ও ২৫২ টাকা। ০.৫% হারে ৪.১২ টাকা রিবেট হিসেবে যোগ হয়েছে।

রিচার্জের মোট পরিমাণ = এনার্জি কস্ট + ডিমান্ড চার্জ + মিটার ভাড়া + ভ্যাট – রিবেট
=> এনার্জি কস্ট = রিচার্জের মোট পরিমাণ – ডিমান্ড চার্জ – মিটার ভাড়া – ভ্যাট + রিবেট
= ১০০০ – ২৫২ – ১২০ – ৪৭.৬২ + ৪.১২
= ৫৮৪.৫০

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের খরচের হিসাব” বিষয়ে ১২টি মন্তব্য

  1. আমি একজন বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া নেমে গিয়েছে, উক্ত ফ্ল্যাটের মিটারটি তাই ব্যবহার হচ্ছেনা। তাই যেন কোনো বাকী না পড়ে সেজন্য আমি উক্ত মিটারে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন কতো টাকা রিচার্জ করবো? ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির।
    উল্লেখ্য, আমার উক্ত মিটারটিতে (মাসের শুরুতে ১ বার) ডিমান্ড চার্জ ধরে ৬০ টাকা ও মিটার রেন্ট ৪০ টাকা।
    ফ্ল্যাট খালি তাই সর্বনিম্ন কতো টাকা রিচার্জ করবো?

ইকবাল কবির শীর্ষক প্রকাশনায় মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।