কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত সকল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত। আল্লাহর নৈকট্য লাভের যেসব সুযোগ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করা। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে বলেছেন- “কুরআনের মধ্যে যা সহজ লাগে তা তোমরা তিলাওয়াত করো।” -সূরা মুয্যাম্মিল।
নামাযে কুরআন তিলাওয়াত করা ফরয। কুরআন তিলাওয়াত ব্যতীত নামায শুদ্ধ হয় না। কুরআন তিলাওয়াতের ব্যাপারে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কতিপয় হাদীস নিম্নে প্রদত্ত হলো:
- “সর্বোত্তম ইবাদত হলো কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করা।” -কানযুল উম্মাল।
- “তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম যিনি নিজে কুরআন শিক্ষা করেন এবং অপরকে কুরআন শিক্ষা দেন।” -ছহীহ বোখারী
- “তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করো; তা কিয়ামতের দিন পাঠকারীর জন্য সুপারিশকারী হবে।” -ছহীহ মুসলিম।
- রাসূল (স) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি হরফ পাঠ করে তার জন্য রয়েছে একটি নেকী যা দশটি নেকীর সমান। আমি বলি না যে, الم একটি হরফ বরং الف একটি হরফ, ل একটি হরফ এবং م একটি হরফ। – তিরমিযী
- “কুরআন শরীফ মুখস্থ পাঠ করায় এক হাজার নেকী, আর দেখে পাঠ করায় দুই হাজার নেকী।” -বায়হাকী
- “যে ব্যক্তি প্রত্যহ ফজর নামাযের পর দেখে দেখে একশত আয়াত পরিমাণ পড়বে, তাঁর নামে সমস্ত পৃথিবী পরিমাণ নেকী লেখা হবে।” -ফাযায়েলে কুরআন, শরহে ইয়াহইয়া
- “কুরআনের অনেক পাঠক রয়েছে, কুরআন তাদের অভিসম্পাত করে।”
- “যে ব্যক্তি কুরআন মুখস্থ করল এবং তার হালালকে হালাল ও হারামকে হারাম জেনে তদানুযায়ী আমল করলো, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে বেহেশতে স্থান দিবেন এবং তাঁর পরিবারবর্গ থেকে এমন দশ ব্যক্তির জন্য সুপারিশ গ্রহণ করবেন যাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়েছিল।” -আহমদ, তিরমিযী।
- যার অন্তরে কুরআনের কিছু আলোও নেই সে একটি বিরান গৃহের ন্যায়। – তিরমিযী