কথায় আছে, ধনে মানুষ বড় না, মনে মানুষ বড়। টাকা-পয়সা থাকলেই বড়লোক হওয়া যায়, কিন্তু বড় মানুষ হতে হলে প্রয়োজন বড় মনের। করোনাময় এই দুর্যোগের সময়ে যার যার সাধ্য অনুযায়ী দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই।
করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দুনিয়ার মানুষই অর্থনৈতিকভাবে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা হবে। যাদের “দিন আনি দিন খাই” অবস্থা, তাদের পরিস্থিতি আরো করুণ হয়ে পড়েছে।
যেসব মানবীয় লোকদের অঢেল টাকা আছে, তারা হয়তো একসাথে অনেক টাকা দান করতে পারবেন। কিন্তু আমার মতো মধ্যম আয়ের লোকেরা ততোটা না পারলেও সাধ্যমত অন্তত কিছু কাজ করতে পারি। চলুন দেখা যাক আমরা কী কী করতে পারি। আশা করি সবাই নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করবো।
- কাছের দূরত্ব, হয়তো হেঁটেই যেতে পারবো। তবু রিকসা ব্যবহার করি শুধু এই নিয়তে যে আমার দ্বারা রিকসাওয়ালার কিছুটা উপকার হবে।
- ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে আগে হয়তো তেমন কিছু কেনা হতো না। এখন টুকিটাকি কিছু জিনিস কেনার চেষ্টা করি।
- দানের অভ্যাস না থাকলে তা গড়ে তুলি। আর আগে থেকে অভ্যাস থেকে থাকলে দানের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিই।
- দিনমজুরদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করি।
টাকা কোনো সমস্যাই না:
কিন্তু এগুলো করতে তো টাকা লাগবে। অভাবের এ সময়ে টাকা কোথায় পাবো?
এটা আসলে খুবই আপেক্ষিক একটা বিষয়। একটু চিন্তা করে দেখি, কোনো কারণে যদি আমার আয় কমে যায়, তবে আমি কীভাবে চলবো? কীভাবে খরচ করবো?
উত্তর খুবই সহজ। আমি আমার অপ্রয়োজনীয় এবং কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে খরচ কমিয়ে দিবো। অপচয় কমিয়ে করবো।
এক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। আর আমরা তো আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। সীমার বাইরে গিয়ে তো আর চেষ্টা করতে বলা হয়নি।
- মোবাইল ফোনে অযথা / অতিরিক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকি। এতে কিছুটা টাকা বাঁচবে।
- সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা কমিয়ে দিই। সবচে ভালো হয়, এ বাজে অভ্যাসটাকে একেবারে বাদ দিতে পারলে।
- যেকোনো ধরনের অপচয় বাদ দিই।
- যদি আমার একটি সিগারেট না খাওয়া, অন্য আরেকজনের একমুঠো ভাতের জোগান দেয়, তা তো অবশ্যই ভালো। মনটাকে উদার করি।