বাংলাদেশের জিআই (GI) পণ্যসমূহ

সর্বশেষ আপডেট:

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী পণ্য। এ পণ্যগুলো কোনো ব্যক্তির নিজস্ব সম্পদ নয়। আবার কোনো একক কোম্পানির মালিকানায়ও নেই। এ কারণে ঐতিহ্যবাহী নানা সম্পদ যথাযথভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় সরকার । এ লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্যের স্বীকৃতির সনদ দেওয়া শুরু হয়।

ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) কী:

GI-এর পূর্ণরূপ Geographical Indication; যার বাংলা অর্থ ‘ভৌগোলিক নির্দেশক’। GI হলো একটি চিহ্ন বা প্রতীক। যেটা নির্দিষ্ট একটি পণ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার (শহর বা দেশ) পণ্যের পরিচিতি বহন করে। এতে পণ্যটি ঐ দেশের বা এলাকার পণ্য হিসেবে খ্যাতি পায়।

বাংলাদেশ ৬ নভেম্বর ২০১৩ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন করে। ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা আইন) ২০১৩ অনুযায়ী, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা GI পণ্য অর্থ ভৌগোলিক নির্দেশকসম্পন্ন এরূপ কৃষিজাত বা প্রকৃতিজাত অথবা প্রস্তুতকৃত পণ্য, যার দ্বারা উক্ত পণ্য কোনো বিশেষ দেশে বা ভূখণ্ডে বা উক্ত দেশ বা ভূখণ্ডের কোনো বিশেষ অঞ্চল বা এলাকার জাত বা প্রস্তুতকৃতকে বোঝায়।

নিবন্ধন সংস্থা:

মেধাস্বত্ব-বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা World Intellectual Property Organization (WIPO) সাধারণত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের নিবন্ধন দেয় ও সনদ প্রদান করে থাকে। তবে বাংলাদেশে WIPO’র হয়ে স্থানীয়ভাবে কাজটি করে থাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (DPDT)।

নিবন্ধিত জিআই পণ্যসমূহ:

এ পর্যন্ত ৩১টি পণ্যকে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পণ্যগুলোর তালিকা নিচে দেয়া হলো।

রেজিঃ নংপণ্যের নামসনদ প্রদানসনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান
০১জামদানি শাড়ি১৭.১১.২০১৬বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (BSCIC)
০২বাংলাদেশ ইলিশ২৪.০৮.২০১৭মৎস্য অধিদপ্তর (DoF)
০৩চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম / হিমসাগর আম২৭.০১.২০১৯বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) মন্তব্য: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম। এ জেলার বাইরে ‘হিমসাগর’ নামে পরিচিত।
০৪বিজয়পুরের সাদা মাটি১৭.০৬.২০২১জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নেত্রকোণা
০৫দিনাজপুর কাটারীভোগ১৭.০৬.২০২১বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI)
০৬বাংলাদেশ কালিজিরা১৭.০৬.২০২১বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI)
০৭রংপুরের শতরঞ্জি১৭.০৬.২০২১বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (BSCIC)
০৮রাজশাহী সিল্ক১৭.০৬.২০২১বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড (BSDB)
০৯ঢাকাই মসলিন১৭.০৬.২০২১বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড (BHB)
১০রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম২৫.০৪.২০২৩ফল গবেষণা কেন্দ্র ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশন
১১বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি২৪.০৪.২০২২মৎস্য অধিদপ্তর (DoF)
১২বাংলাদেশের শীতল পাটি২০.০৭.২০২৩বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (BSCIC)
১৩বগুড়ার দই২৫.০৬.২০২৩বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি, বগুড়া জেলা শাখা
১৪শেরপুরের তুলশীমালা ধান১২.০৬.২০২৩জেলা প্রশাসক, শেরপুর
১৫চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম২৫.০৬.২০২৩আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
১৬চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম২৫.০৬.২০২৩আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
১৭নাটোরের কাঁচাগোল্লা২৫.০৪.২০২৪জেলা প্রশাসন, নাটোর
১৮বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ২৫.০৪.২০২৪প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
১৯টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম২৫.০৪.২০২৪জেলা প্রশাসন, টাঙ্গাইল
২০কুমিল্লার রসমালাই২৫.০৪.২০২৪জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা
২১কুষ্টিয়ার তিলের খাজা২৫.০৪.২০২৪জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়া
২২রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম২৫.০৪.২০২৪আলহাজ্ব আব্দুস সালাম সরকার, হাড়িভাঙ্গা আম কৃষক স্কুল
২৩মৌলভীবাজারের আগর২৫.০৪.২০২৪বাংলাদেশ আগর এন্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন
২৪মৌলভীবাজারের আগর আতর২৫.০৪.২০২৪বাংলাদেশ আগর এন্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন
২৫ মুক্তাগাছার মণ্ডা২৫.০৪.২০২৪উপজেলা প্রশাসন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
২৬যশোরের খেজুরের গুড়২৫.০৪.২০২৪উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চৌগাছা, যশোর
২৭নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা২৫.০৪.২০২৪জেলা প্রশাসন, নরসিংদী
২৮রাজশাহীর মিষ্টি পান২৫.০৪.২০২৪জেলা প্রশাসন, রাজশাহী
২৯গোপালগঞ্জের রসগোল্লা২৫.০৪.২০২৪জেলা প্রশাসন, গোপালগঞ্জ
৩০জামালপুরের নকশিকাঁথা২৫.০৪.২০২৪জেলা প্রশাসন, জামালপুর
৩১টাঙ্গাইল শাড়ি০৮.০২.২০২৪জেলা প্রশাসন, টাঙ্গাইল

কৃতজ্ঞতা:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।