বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প-কারখানা, পরিবহন, রান্নাবান্নাসহ বিভিন্ন কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। আর সার উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
গ্যাস সংক্রান্ত প্রথম যা কিছু:
- দেশের ভূখণ্ডে প্রথম গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয় – ১৯১০ সালে।
- প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয় – সিলেটের হরিপুরে, ১২ মে ১৯৫৫ সালে।
- প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় – সিলেটের হরিপুরে, ১৯৫৭ সালে।
- রান্নার কাজে প্রথম গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয় – প্রখ্যাত লেখক শওকত ওসমানের বাসায় (১৯৬৮ সালে)।
- শিল্প খাতে প্রথম গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয় – ছাতক গ্যাসক্ষেত্র থেকে ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে (১৯৬০ সালে)।
- প্রথম গ্যাস পাইপলাইনের নাম হরিপুর থেকে এনজিএফ পাইপলাইন।
- ঢাকার প্রথম গ্যাস পাইপলাইনের নাম তিতাস থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট।
গ্যাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান:
- দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
- পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (BAPEX)।
- পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি, মজুত, বিপণন ও বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (BPC)।
- গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম পণ্য নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (BERC)।
সংখ্যাতত্ত্বে গ্যাস খাত:
- গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা – ২৮টি
- উৎপাদনরত গ্যাসক্ষেত্র – ২০টি
- উৎপাদনরত গ্যাস কূপের সংখ্যা – ১০৪টি
- বাপেক্স কর্তৃক আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র – ৮টি
- তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মোট ব্লক – ৪৮টি
- স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ব্লক সংখ্যা – ২২টি
- পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহকৃত জেলার সংখ্যা – ২৮টি
গ্যাস খাত সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞান:
- সর্বশেষ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র – জকিগঞ্জ, সিলেট
- বাপেক্স কর্তৃক আবিষ্কৃত সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্র – জকিগঞ্জ, সিলেট
- ঢাকায় সরবরাহকৃত গ্যাস আসে তিতাস গ্যাসক্ষেত্র থেকে।
- গ্যাস মজুতের দিক থেকে বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র – তিতাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- দৈনিক উৎপাদনে শীর্ষ গ্যাসক্ষেত্র – বিবিয়ানা, হবিগঞ্জ
কৃতজ্ঞতা:
- কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, সেপ্টেম্বর ২০২২, পৃষ্ঠা ৮২