কিছু কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলোর উচ্চারণ প্রায় একই, কিন্ত বানান ভিন্ন। তাই এসব শব্দ লিখতে গিয়ে অনেক সময় বানান ভুল হয়ে যায়। বাংলা ব্যাকরণে এদেরকে প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ (Homophone) বলা হয়। এ ধরনের কিছু শব্দ নিচে দেয়া হলো।
অকৃতদার, অকৃতাদর
অকৃতদার – অবিবাহিত
অকৃতাদর – অনাদৃত, উপেক্ষিত
অঘ্রাণ, অঘ্রান, আঘ্রাণ
অঘ্রাণ – ঘ্রাণহীন
অঘ্রান – অগ্রহায়ণ
আঘ্রাণ – গন্ধ-গ্রহণ। গন্ধ
অচল, উচল
অচল – স্থির। অপ্রচলিত। পর্বত
উচল – উঁচু, উচ্চ
অছি, অসি, ঐশী
অছি – অসিয়তকারী। সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক, trustee
অসি – তলোয়ার, তরবারি
ঐশী – ঐশ (ঈশ্বরসম্বন্ধীয়, ঐশ্বরিক)-এর স্ত্রী-লিঙ্গ
অজগর, অজাগর
অজগর – একপ্রকার বৃহদাকার সাপ
অজাগর – ঘুমন্ত, নিদ্রিত
অটল, অতল
অটল – স্থির, নিশ্চল
অতল – গভীর
অণু, অনু
অণু – অতি সূক্ষ্ম কণা
অনু – পেছনের দিক
অণুবাদ, অনুবাদ
অণুবাদ – অণু-বিষয়ক মতবাদ
অনুবাদ – ভাষান্তর, তরজমা, translation
অণ্ড, অন্ধ
অণ্ড – ডিম
অন্ধ – দৃষ্টিহীন
অতসী, আতশি
অতসী – তিসি
আতশি – অগ্নিময়, আগ্নেয়
অদক্ষ, অধ্যক্ষ
অদক্ষ – অপটু, অনিপুণ
অধ্যক্ষ – প্রিন্সিপাল (principal)
অধীন, ওদিন
অধীন – বশীভূত। অন্তর্গত, অন্তর্ভুক্ত। অনুগত, অধস্তন
ওদিন – ওই দিন
অন, ওয়ান
অন – সচলকরণ, on
ওয়ান – এক, one
অনাবৃতি, অনাবৃত্তি
অনাবৃতি – আবরণহীনতা
অনাবৃত্তি – অনভ্যাস
অনিল, অনীল, আনীল
অনিল – বাতাস
অনীল – যা নীল নয়
আনীল – নীলাভ
অনুদিত, অনূদিত
অনুদিত – উদিত হয়নি এমন, অপ্রকাশিত
অনূদিত – অনুবাদ করা হয়েছে এমন, ভাষান্তরিত
অন্ত, অন্ত্য, অন্তঃ
অন্ত – অবসান। মৃত্যু, নাশ
অন্ত্য – চরম, অন্তিম, শেষ
অন্তঃ – মধ্যে
অন্তঃসত্তা, অন্তঃসত্ত্বা
অন্তঃসত্তা – আত্মা
অন্তঃসত্ত্বা – গর্ভবতী
অন্ন, অন্য
অন্ন – ভাত
অন্য – অপর, ভিন্ন
অন্যত, অন্যত্ব, অন্যত্র
অন্যত – অন্যভাবে
অন্যত্ব – ভিন্নতা
অন্যত্র – অন্য স্থানে
অন্যভৃত, অন্যভৃৎ
অন্যভৃত – কোকিল, পরভৃত
অন্যভৃৎ – কাক, পরভৃৎ
অন্যান্য, অন্যোন্য
অন্যান্য – অপরাপর
অন্যোন্য – পরস্পর
অপত্য, অপথ্য
অপত্য – সন্তান
অপথ্য – (রোগীর) খাওয়ার অযোগ্য খাদ্য। কুপথ্য
অপর, উপর/ওপর, উপুড়
অপর – অন্য
উপর, ওপর – ঊর্ধ্বদিক
উপুড় – অধোমুখী, নিম্নমুখী
অপার, ওপার
অপার – অগাধ
ওপার – অন্য পার, বিপরীত কূল
অবদান, অবধান
অবদান – মহৎ বা প্রশংসনীয় কীর্তি
অবধান – প্রণিধান, মনোযোগ সহকারে শ্রবণ
অবদ্ধ, অবদ্য, অবধ্য, অবন্ধ্য
অবদ্ধ – মুক্ত
অবদ্য – অকথ্য
অবধ্য – বধের অযোগ্য
অবন্ধ্য – বন্ধ্যা নয় এমন
অবশ, অবস
অবশ – অসাড়
অবস – সূর্য। রাজা
অবাধ, আবাদ
অবাধ – বাধাহীন
আবাদ – কৃষিকর্ম, চাষ
অবিকৃত, অবিক্রীত
অবিকৃত– বিকৃতিহীন। বিশুদ্ধ, খাঁটি
অবিক্রীত – বিক্রি হয়নি এমন
অবিজ্ঞ, অভিজ্ঞ
অবিজ্ঞ – মূর্খ
অভিজ্ঞ – বিজ্ঞ, জ্ঞানী
অবিদ্বান, অবিধান, অভিধান
অবিদ্বান – অপণ্ডিত
অবিধান – অব্যবস্থা। অশাস্ত্রীয় ব্যবস্থা
অভিধান – শব্দকোষ, dictionary
অবিনয়, অভিনয়
অবিনয় – বিনয়ের অভাব
অভিনয় – নাট্য প্রদর্শন। ভান। অনুকরণ
অবিমিশ্র, অবিমৃশ্য
অবিমিশ্র – খাঁটি, নির্ভেজাল
অবিমৃশ্য – অবিবেচক। অসহনশীল
অবিরত, অভিরত
অবিরত – বিরামহীন। অনবরত
অভিরত – অত্যন্ত অনুরক্ত
অবিরাম, অভিরাম
অবিরাম – বিরামহীন
অভিরাম – সুন্দর
অবিহিত, অভিহিত
অবিহিত – শাস্ত্রবিরুদ্ধ
অভিহিত – নামবিশিষ্ট, নামযুক্ত
অবীর, আবির, আভীর
অবীর – বীরশূন্য। শক্তিহীন
আবির – সুগন্ধি রঞ্জক দ্রব্য
আভীর – গোয়ালা জাতিবিশেষ
অবেদন, আবেদন
অবেদন – অনুভূতিলোপ, anaesthesia
আবেদন – দরখাস্ত
অব্যবহার, অভ্যবহার
অব্যবহার – ব্যবহারের অভাব। কদাচরণ
অভ্যবহার – ভোজন, আহার
অভি, অভী
অভি – সম্মুখ/সমীপ (উপসর্গ)
অভী – ভয়হীন, নির্ভীক
অমত, অমত্ত, অমর্ত, অমর্ত্য
অমত – অসম্মতি
অমত্ত – মত্ততাশূন্য
অমর্ত – অমৃত, সুধা
অমর্ত্য – স্বর্গীয়
অমর, অমরা
অমর – মৃত্যুহীন, চিরজীবী
অমরা – গর্ভফুল, placenta
অমরা, উমরা, ওমরা, উমরাহ, ওমরাহ
অমরা – গর্ভফুল, placenta
উমরা, ওমরা – অভিজাতবর্গ, আমিরগণ
উমরাহ, ওমরাহ – কাবা জিয়ারত
অযুগ্ম, অযোগ্য
অযুগ্ম – বিজোড়
অযোগ্য – অনুপযুক্ত
অযোদ্ধা, অযোধ্যা
অযোদ্ধা – যুদ্ধবিদ্যায় অপারদর্শী ব্যক্তি
অযোধ্যা – উত্তর ভারতের নগরবিশেষ
অর্ঘ, অর্ঘ্য
অর্ঘ – মূল্য
অর্ঘ্য – পূজার উপকরণ
অশন, অসন, আসন
অশন – ভোজন, আহার
অসন – ক্ষেপণ
আসন – বসার উপযোগী উপকরণ
অশ্ব, অশ্ম
অশ্ব – ঘোড়া
অশ্ম – পাথর
অষ্ট, অস্ত, অস্ত্র, আস্ত
অষ্ট – ৮ সংখ্যা
অস্ত – গ্রহ-নক্ষত্রের ডুব
অস্ত্র – হাতিয়ার
আস্ত – পুরো, সমগ্র
অসংগত, অসংঘট
অসংগত – অযৌক্তিক
অসংঘট – অঘটনীয়
অসার, অসাড়
অসার – বাজে, অপদার্থ
অসাড় – সাড়হীন, চেতনা নেই এমন
অশূর, অসুর
অশূর – যে বীর নয়
অসুর – দানব, দৈত্য
অংশ, অংস
অংশ – ভাগ
অংস – কাঁধ, স্কন্ধ
আগর, আগড়
আগর – গন্ধকাষ্ঠবিশেষ
আগড় – অর্গল, খিল
আঘাট, আঘাত, আঘ্রাত
আঘাট – ব্যবহারের অযোগ্য ঘাট
আঘাত – প্রহার
আঘ্রাত – ঘ্রাণ নেওয়া বা শোঁকা হয়েছে এমন
আচার, আছাড়
আচার – ব্যবহার, চালচলন। মুখরোচক খাদ্যবস্তুবিশেষ
আছাড় – হঠাৎ পতন
আচ্ছন্ন, আচ্ছিন্ন, আসন্ন
আচ্ছন্ন – আচ্ছাদিত, আবৃত
আচ্ছিন্ন – খণ্ডিত
আসন্ন – নিকটবর্তী
আছর, আসর
আছর – প্রভাব, ক্রিয়া
আসর – বৈঠক, মজলিস। প্রভাব। বিকেলের নামাজ
আছার, আষাঢ়, আসার
আছাড় – হঠাৎ পতন
আষাঢ় – বাংলা মাসের নাম
আসার – প্রবল বর্ষণ
আজিব, আজীব
আজিব – বিস্ময়কর, অদ্ভুত
আজীব – জীবিকা, বৃত্তি
আট, আঁট, আঁত
আট – অষ্ট, ৮ সংখ্যা
আঁট – দৃঢ়
আঁত – নাড়ি
আটা, আঁটা, আতা
আটা – গমের গুঁড়া
আঁটা – সংকুলান হওয়া
আতা – ফলবিশেষ
আত্ত, আত্ম
আত্ত – অধীন, বশীভূত (আয়ত্ত > আত্ত)
আত্ম – স্বয়ং, নিজ
আত্মহত্যা, আত্মহন্তা
আত্মহত্যা – আত্মহনন
আত্মহন্তা – আত্মহত্যাকারী
আদা, আধা
আদা – একপ্রকার মসলা, আদ্রক
আধা – অর্ধেক
আদাড়, আধার, আঁধার
আদাড় – আবর্জনা ফেলার স্থান, আস্তাকুঁড়
আধার – পাত্র। মাছ বা পাখির খাদ্য, দানাপানি
আঁধার – অন্ধকার
আদান, আধান
আদান – গ্রহণ
আধান – বৈদ্যুতিক চার্জ
আদি, আধি, আঁধি
আদি – প্রথম। মূল
আধি – দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা
আঁধি – আকাশ অন্ধকার করে আসে এমন ধূলিঝড়
আদৃত, আধৃত
আদৃত – সাদরে গৃহীত, সমাদৃত। সম্মানিত, অভিনন্দিত
আধৃত – গৃহীত। রক্ষিত
আপণ, আপন
আপণ – দোকান
আপন – নিজ। আত্মীয়, স্বজন
আপাত, আপাতত
আপাত – তৎকাল, ঘটনাকাল। প্রতীয়মান
আপাতত – এখন
আবছা, আবছায়া
আবছা – অস্পষ্ট
আবছায়া – ছায়ামূর্তি। আলোছায়া
আবরণ, আভরণ
আবরণ – আচ্ছাদন
আভরণ – অলংকার, গহনা
আবাস, আভাষ, আভাস
আবাস – বাসস্থান
আভাষ – ভূমিকা, মুখবন্ধ। আলাপ, সম্ভাষণ
আভাস – ইঙ্গিত
আবাসন, আভাষণ
আবাসন – গৃহনির্মাণ বণ্টন ও সংরক্ষণের সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থা
আভাষণ – সম্ভাষণ। উক্তি। বক্তৃতা
আবৃত, আবৃত্ত
আবৃত – ঢাকা, আচ্ছাদিত। বেষ্টিত
আবৃত্ত – আবৃত্তি করা হয়েছে এমন, পুনঃপুন পঠিত। অভ্যস্ত
আবৃতি, আবৃত্তি
আবৃতি – আবরণ, আচ্ছাদন। ঘের, enclosure। বেষ্টিত স্থান
আবৃত্তি – ছন্দ ব্যঞ্জনা প্রভৃতি অভিব্যক্তি সহকারে উচ্চকণ্ঠে পাঠ। বারবার পাঠ বা অনুশীলন। প্রত্যাগমন, প্রত্যাবর্তন
আমরা, আমড়া
আমরা – ‘আমি’-এর বহুবচন, we
আমড়া – অম্লমধুর ফলবিশেষ
আশ, আঁশ
আশ – আহার, ভোজন। আশা
আঁশ – তন্তু। মাছের শল্ক
আশা, আসা
আশা – বাসনা, প্রত্যাশা
আসা – আগমন করা, উপস্থিত হওয়া
আর, আড়
আর – এবং। অথবা। এরপর
আড় – বাঁকা। প্রস্থ, চওড়া। আড়াল। আইড়মাছ
আলু, আলো
আলু – সবজিবিশেষ
আলো – আলোক, কিরণ, দীপ্তি
আশি, আশী, আসি
আশি – ৮০ সংখ্যা
আশী – সাপের বিষদাঁত
আসি – আগমন করি
আসক্তি, আসত্তি
আসক্তি – অনুরাগ
আসত্তি – নৈকট্য
আয়ত, আয়ত্ত
আয়ত – বিস্তৃত, প্রসারিত
আয়ত্ত – অধিকার। অধীন
আয়স, আয়াস, আয়েশ
আয়স – লোহা
আয়াস – বিলাস। প্রচেষ্টা
আয়েশ – বিলাস, আরাম
আঁতেল, এঁটেল
আঁতেল – পণ্ডিত
এঁটেল – এক প্রকার মাটি
ইন্দ্রজালিক, ঐন্দ্রজালিক
ইন্দ্রজালিক – জাদুবিদ্যা সম্বন্ধীয়
ঐন্দ্রজালিক – জাদুবিদ্যা সম্বন্ধীয়
ইন্দ্রজালিক = ঐন্দ্রজালিক
ইহা, ঈহা
ইহা – এই
ঈহা – ইচ্ছা। চেষ্টা
উকুন, একুন, একোন
উকুন – একপ্রকার ক্ষুদ্র পরজীবী কীট
একুন – মোট, সবসুদ্ধ
একোন – এক কম এমন
উঠান, উঠোন, উঠানো
উঠান, উঠোন – আঙিনা, প্রাঙ্গন
উঠানো – উত্তোলন করা
উদ্ধত, উদ্যত
উদ্ধত – দুর্বিনীত, উগ্র
উদ্যত – উন্মুখ। উদ্যমশীল
উপদেষ্টা, উপদেশটা
উপদেষ্টা – পরামর্শ বা মন্ত্রণাদাতা, উপদেশক
উপদেশটা (উপদেশ + টা) – নির্দিষ্ট কোনো উপদেশ, উপদেশটি
উপধান, উপাদান, উপাধান
উপধান – বালিশ। প্রণয়
উপাদান – উপকরণ
উপাধান – বালিশ
উপধি, উপাধি
উপধি – ছল, চাতুরী
উপাধি – উপনাম, খেতাব
উপল, উৎপল
উপল – পাথর, শিলা
উৎপল – পদ্মফুল, শতদল
উপহার, উপাহার
উপহার – উপঢৌকন। পুরস্কার
উপাহার – অল্প আহার, স্বল্পাহার, জলযোগ
উপহৃত, উপাহৃত
উপহৃত – উপহারস্বরূপ প্রদত্ত। উৎসর্গীকৃত। অর্পিত
উপাহৃত – সংগৃহীত, অর্পিত। কল্পিত
উড়ি, ঊঢ়ি
উড়ি – অকর্ষিত জমিতে বাতাসে উড়েপড়া ধান থেকে উৎপন্ন ধানের চারা বা তার ফসর, নীবার, উড়িধান
ঊঢ়ি – বিবাহ, পরিণয়
উড়ো, উরু, ঊরু
উড়ো – উড়তে পারে এমন। ভিত্তিহীন। বেনামি
উরু – প্রশস্ত, বিশাল
ঊরু – মানবদেহের কুঁচকি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ, উরুত
উহ্য, ঊহ্য
উহ্য – বহনীয়
ঊহ্য – অনুক্ত, অব্যক্ত
একই রকম, একরকম
একই রকম – একজাতীয় (অভিধানে পাইনি)
একরকম – কোনো প্রকারে, মোটামুটিভাবে (একরকম বেঁচে আছি)
একত্ব, একত্র
একত্ব – একতা
একত্র – সমবেত, মিলিত
একবারে, একেবারে
একবারে – এক দফায়
একেবারে – পুরোপুরি, সম্পূর্ণ
একা, এক্কা
একা – একলা, নিঃসঙ্গ
এক্কা – এক ঘোড়ায় টানা দু-চাকার গাড়ি
ওজন, ওজোন
ওজন – মাপ। গুরুত্ব, মর্যাদা
ওজোন – তিনটি অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত হয়ে গঠিত অণু, ozone
ওষধি, ঔষধি
ওষধি – যে গাছ একবার ফল দিয়েই মারা যায়
ঔষধি – যে গাছ থেকে ওষুধ তৈরি হয়
ওষ্ঠ, ওষ্ঠ্য, ঔষ্ঠ্য
ওষ্ঠ – ঠোঁট
ওষ্ঠ্য, ঔষ্ঠ্য – ওষ্ঠজাত
কই, কয়
কই – মাছবিশেষ। কোথায়
কয় – কত
কচড়া, কচলা, কড়চা
কচড়া – মোটা দড়ি, কাছি
কচলা – রগড়ানো
কড়চা – রোজনামচা
কণ্ঠ, কণ্ঠ্য
কণ্ঠ – গলার স্বর
কণ্ঠ্য – কণ্ঠজাত। কণ্ঠবিষয়ক
কণা, কন্না, কন্যা, কান্না
কণা – অণু। খণ্ড
কন্না – ঘরের কাজ
কন্যা – মেয়ে, তনয়া
কান্না – ক্রন্দন
কন্দ, কন্ধ
কন্দ – যে উদ্ভিদের প্রধান অংশ মাটির নিচে থাকে
কন্ধ – কাঁধ, স্কন্ধ
কপট, কপোত
কপট – ছলপূর্ণ
কপোত – কবুতর, পায়রা
কপাল, কপোল
কপাল – ললাট
কপোল – গাল
কবরী, করবী
কবরী – খোঁপা
করবী – ফুলবিশেষ
কম, ক্রম
কম – অল্প
ক্রম – পরম্পরা
কমল, কলম
কমল – পদ্ম
কমলো, কমল – কমে গেলো
কলম – লেখনী। গাছের ডাল থেকে নতুন চারা তৈরির বিশেষ পদ্ধতি
করজ, কর্জ
করজ – আঙুল
কর্জ – ঋণ, ধার
কর্ষণ, কষণ, কষন
কর্ষণ – চাষ, কৃষিকর্ম
কষণ – কষ্টিপাথরে ঘষে পরীক্ষণ
কষন – চামড়ায় কষ প্রয়োগ
করা, কড়া
করা – কাজ করা
কড়া – কঠোর
করি, কড়ি
করি – আমি করি
কড়ি – অর্থ
কলপিত, কল্পিত
কলপিত – কলপ দিয়ে কালো করা হয়েছে এমন, কলপ-দেয়া
কল্পিত – মনগড়া
কশ, কষ
কশ – ওষ্ঠাধরের দুই কোণ, সৃক্কণী
কষ – গাছের রস। কষ্টিপাথর
কশা, কষা
কশা – চাবুক
কষা – চামড়ায় কষ দেয়া। কষ্টিপাথরে ঘষে সোনা যাচাই করা। গণনা করা। আঁট করে বাঁধা
কাক, কাঁক
কাক – এক প্রকার পাখি, বায়স, পরভৃৎ
কাঁক – কোমর। বগল
কাচা, কাঁচা
কাচা – আছাড় দিয়ে কাপড় ধোয়া
কাঁচা – অপক্ব
কাজি, কাঁজি
কাজি – মুসলমান বিবাহের নিবন্ধক। কর্মী, কাজের লোক
কাঁজি – গাঁজানো পান্তা ভাতের পানি
কাটা, কাঁটা, কাতা
কাটা – কর্তন করা
কাঁটা – মাছের হাড়। গাছের গায়ে উদ্গত সুচালো অংশবিশেষ
কাতা – নারকেলের ছোবড়ার তৈরি দড়ি
কারবারি, কার বাড়ি?
কারবারি – ব্যবসায়ী
কার বড়ি? – বাড়িটি কোন্ ব্যক্তির?
কালি, কালী
কালি – কলঙ্ক। লেখার জন্য ব্যবহৃত কালো তরল পদার্থ
কালী – শিবপত্নী
কাশি, কাশী
কাশি – শ্বাসনালির প্রদাহজনিত রোগবিশেষ
কাশী – তীর্থস্থানবিশেষ, বেনারস, বারাণসী
কিশতি, কিস্তি
কিশতি – নৌকা
কিস্তি – নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পরিশোধযোগ্য ঋণের অংশ, installment
কীটঘ্ন, কৃতঘ্ন
কীটঘ্ন – কীটনাশক
কৃতঘ্ন – উপকারীর অপকার করে এমন
কুচ, কুঁচ
কুচ – স্তন
কুঁচ – এক ধরনের ফল
কুড়, কুঁড়
কুড় – স্তূপ, গাদা। কুষ্ঠরোগ
কুঁড় – গর্ত, জলাশয়। স্তূপ, গাদা
কুড়া, কুঁড়া
কুড়া – ঝাঁট দেওয়া
কুঁড়া – ধানের ছাড়ানো খোসা
কুঁড়ি, কুড়ি
কুঁড়ি – মুকুল
কুড়ি – ২০ সংখ্যা, বিশ
কুজন, কূজন
কুজন – মন্দ লোক
কূজন – পাখির ডাক, কাকলি
কুল, কূল
কুল – বংশ। বরই
কূল – নদীর তীর
কৃতঘ্ন, কৃতজ্ঞ
কৃতঘ্ন – উপকারীর অপকার করে এমন। অকৃতজ্ঞ, উপকারীর উপকার স্বীকার করে না এমন
কৃতজ্ঞ – অকৃতঘ্ন, উপকারীর উপকার স্বীকার করে এমন
কৃত্ত, কৃত্য, কৃত্যা
কৃত্ত – খণ্ডিত, কর্তিত
কৃত্য – করণীয়, কর্তব্য
কৃত্যা – ছলনা
কৃশ, কৃষ্য
কৃশ – রোগা, শীর্ণ
কৃষ্য – চাষের উপযোগী
কেবল, ক্যাবল/কেব্ল
কেবল – একমাত্র, শুধু। অবিরাম, নিরন্তর
ক্যাবল, কেব্ল – তার, cable
কেবলা, ক্যাবলা
কেবলা – কাবাগৃহ
ক্যাবলা – স্থূলবুদ্ধি। স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি, মূর্খ ব্যক্তি
কেশ, কেস
কেশ – চুল
কেস – মোকদ্দমা। ঘটনা, ব্যাপার। রোগী বা মক্কেল
কোণ, কোনটি, ক্বণ
কোণ – কোনা
কোন – কোনটি
ক্বণ – বীণা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রের ঝংকার, নিক্বণ
কোন্দল, কোন্ দল?
কোন্দল – ঝগড়াবিবাদ
কোন্ দল?
কৌঁসুলি, কৌশলী
কৌঁসুলি – আদালতের উকিল বা ব্যারিস্টার
কৌশলী – কুশলতাসম্পন্ন। ফন্দিবাজ
ক্ষমার্য, ক্ষমার্হ
ক্ষমার্য –
ক্ষমার্হ – ক্ষমার যোগ্য
ক্ষর, খড়
ক্ষর – ক্ষরণ, নিঃসরণ
খড় – বিচালি
ক্ষিপ্ত, ক্ষিপ্র
ক্ষিপ্ত – নিক্ষিপ্ত। খ্যাপা
ক্ষিপ্র – দ্রুত
ক্ষুধা, খুদা, খোদা
ক্ষুধা – খাওয়ার প্রবৃত্তি
খুদা, খোদা – খনন করা
খোদা – বিধাতা, ঈশ্বর
ক্ষুর, খুর, -খোর
ক্ষুর – ক্ষৌরকর্ম করার ধারালো অস্ত্রবিশেষ
খুর – গরু-ঘোড়া প্রভৃতি চতুষ্পদ প্রাণীর পায়ের অস্থিময় প্রান্তভাগ
-খোর – খায় বা ভোগ করে এমন, আসক্ত
ক্ষোভ, খুব
ক্ষোভ – আন্দোলন, বিক্ষোভ
খুব – অতিশয়
খাট, খাত
খাট – পালঙ্ক
খাত – হিসাবের শিরোনাম
খাটা, খাতা
খাটা – মেহনত করা
খাতা – লেখার জন্য সেলাই-করা কাগজগুচ্ছ
খুঁট, খুঁত
খুঁট – ধুতি বা শাড়ির প্রান্তভাগ
খুঁত – দোষ, ত্রুটি
খুদ, খোদ
খুদ – চালের ভাঙা অংশ
খোদ – স্বয়ং, নিজ
খোঁজখবর, খোশখবর
খোঁজখবর – তত্ত্বতালাল, পাত্তা
খোশখবর – সুসংবাদ
গজব, গুজব
গজব – অভিসম্পাত
গুজব – ভিত্তিহীন রটনা, জনশ্রুতি
গণ, ঘন
গণ – জনসাধারণ
ঘন – গাঢ়। পুরু, জমাট
গর্ব, গর্ভ
গর্ব – দর্প, অহংকার
গর্ভ – উদর, জঠর
গড়, গর, গোর, গোঁড়, ঘর, ঘোর, ঘোড়
গড় – গণিতে মধ্যম মান। কেল্লা, দুর্গ
গর – বিষ, গরল
গোর – কবর
গোঁড় – নাভির স্ফীত মাংসপিণ্ড
ঘর – গৃহ
ঘোর – মোহ, ঘন
ঘোড় – ঘোড়াসংক্রান্ত
গড়ি, ঘড়ি
গড়ি – গঠন করি, প্রস্তুত করি
ঘড়ি – সময় নিরূপক যন্ত্র
গা, গাঁ, ঘা
গা – শরীর, দেহ
গাঁ – গ্রাম
ঘা – প্রহার, ক্ষত
গাই, ঘাই
গাই – গাভি। গান করি
ঘাই – আঘাত, গুঁতো
গাওয়া, ঘাওয়া
গাওয়া – গান করা
ঘাওয়া (ঘাওয়া ঘি)
গাছ, ঘাস
গাছ – বৃক্ষ, তরু, উদ্ভিদ, লতা, গুল্ম
ঘাস – তৃণ
গাথা, গাঁথা
গাথা – কবিতা, শ্লোক
গাঁথা – বিন্যস্ত করা। বিদ্ধ করা
গাদা, গাধা, গাঁদা
গাদা – রাশি, স্তূপ
গাধা – গর্দভ
গাঁদা – ফুলবিশেষ
গাম, ঘাম
গাম – আঠা, gum
ঘাম – ঘর্ম, স্বেদ
গাঢ়, গারো, ঘাড়
গাঢ় – ঘন। গভীর। নিবিড়
গারো – একটি পর্বতের নাম। একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাম
ঘাড় – গ্রীবা, গর্দান
গুণ, গুন, ঘুণ
গুণ – স্বভাব, ধর্ম। গুণন
গুন – চট সেলাই করার মোটা সুচ। চটের থলি
ঘুণ – কাঠ ধ্বংসকারী পোকা
গুম, ঘুম
গুম – গায়েব, নিখোঁজ
ঘুম – তন্দ্রা, নিদ্রা
গুড়, গূঢ়
গুড় – আখ খেজুর ইত্যাদির তৈরি মিষ্ট খাদ্যবস্তু, মিঠাই
গূঢ় – গুপ্ত, লুক্কায়িত। দুর্বোধ্য, জটিল
গুড়া, গুঁড়া, গোঁড়া, গোড়া, গোরা, ঘুরা, ঘোরা, ঘোড়া
গুড়া – নৌকার দুইপাশে বসার তক্তা, নৌকার আড়কাঠ
গুঁড়া – চূর্ণ, কণা, powder
গোঁড়া – অন্ধবিশ্বাসী। একগুঁয়ে
গোড়া – মূল, ভিত্তি
গোরা – গৌরবর্ণ, ফরসা, শেতাঙ্গ
ঘুরা, ঘোরা – পাক খাওয়া। ভ্রমণ করা
ঘোড়া – চতুষ্পদ জন্তুবিশেষ, অশ্ব
গুঁড়ি, গুড়ি, ঘুড়ি
গুঁড়ি – গাছের কাণ্ড
গুড়ি – হামাগুড়ি
ঘুড়ি – আকাশে ওড়ানোর খেলনাবিশেষ, ঘোটকী
গুঁতা, গোটা, ঘটা
গুঁতা – কনুই লাঠি শিং প্রভৃতির ধাক্কা বা আঘাত
গোটা – আস্ত
ঘটা – সংঘটিত হওয়া
গোমেদ, গোমেধ
গোমেদ – কমলা রঙের মণিবিশেষ
গোমেধ – যে যজ্ঞে গরু বলি দেয়া হয়
গোল, ঘোল
গোল – বৃত্তাকার। গোলমাল। খেলায় গোল, goal
ঘোল – মাঠা
গোলা, ঘোলা
গোলা – ধান রাখার বড়ো আধারবিশেষ। কামানের গোলা
ঘোলা – কর্দমাক্ত
গৌড়, গৌর
গৌড় – বাংলার প্রাচীন জনপদের নাম
গৌর – উজ্জ্বল বর্ণযুক্ত, সুন্দর
চড়, চর, চোর
চড় – থাপ্পড়, চপোটাঘাত
চর – দ্বীপ। গোয়েন্দা
চোর – যে চুরি করে
চড়ক, চরক
চড়ক – চৈত্রসংক্রান্তিতে উদ্যাপিত পর্ববিশেষ
চরক – আয়ুর্বেদ শাস্ত্রকার। গোয়েন্দা। দূত
চড়া, চরা
চড়া – আরোহণ করা, বৃদ্ধি পাওয়া
চরা – বিচরণ করা, যথেচ্ছ ঘুরে বেড়ানো
চাই, চাঁই
চাই – দাবি করি, দৃষ্টিপাত করি
চাঁই – ঢেলা
চাছা, চাষা
চাঁছা – বাইরের আবরণ চেঁছে তুলে ফেলা। কামানো
চাষা – চাষি, কৃষক
চিত্ত, চিত্র
চিত্ত – হৃদয়, মন, আত্মা, প্রাণ
চিত্র – ছবি
চিন, চীন
চিন – জানাশোনা
চীন – চীনদেশ
চুড়ি, চুরি
চুড়ি – হাতে পরিধেয় গহনাবিশেষ
চুরি – চৌর্য
চৈত্ত, চৈত্ত্য, চৈত্য
চৈত্ত – চিত্তসংক্রান্ত
চৈত্ত্য – স্মরণ, স্মৃতি
চৈত্য – বেদি
ছক, শখ
ছক – নকশা, পরিকল্পনা
শখ – আগ্রহ, ঝোঁক
ছক্কা, সক্কা
ছক্কা – ক্রিকেট খেলায় ছয় রানের মার
সক্কা – পানিবিক্রেতা, ভিস্তি
ছত্র, সত্র
ছত্র – ছাতা। চরণ, পদ
সত্র – আশ্রম। অধিবেশন, session। অরণ্য
ছদ্ম, সদ্ম, সদ্য
ছদ্ম – ছলনা
সদ্ম – আবাস
সদ্য – এইমাত্র
ছন, শণ, শুন, শোন, শ্বন, সন
ছন, শণ – তৃণবিশেষ
শুন – কুকুর
শোন – (তুই-বাচক) শ্রবণ কর্
শ্বন – কুকুর
সন – সাল
ছড়া, শরা, সরা
ছড়া – অন্ত্যমিলবিশিষ্ট পদ্য। গুচ্ছ। আঁচড় লাগা। ঝরনা
শরা – মাটির তৈরি হাঁড়ি কলসি প্রভৃতির মুখের ঢাকনা
সরা – ঝরনা, উৎস। স্থান বদলানো, পথ ছাড়া
ছড়ানো, সরানো
ছড়ানো – প্রসারিত করা, বিস্তৃত হওয়া। ছিটানো। অপচয় করা
সরানো – সরিয়ে ফেলা, স্থানান্তরিত করা
ছা, শ্বা
ছা – পশুপাখির ছানা। ছোটো ছেলেমেয়ে
শ্বা – কুকুর, সারমেয়
ছাঁদ, ছাদ, সাধ, স্বাদ
ছাঁদ – ধরন, আদল, ভঙ্গি
ছাদ – ঘরের চাল
সাধ – ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, স্পৃহা। শখ। স্বেচ্ছা
স্বাদ – জিভে খাদ্যের স্পর্শজনিত অনুভূতি
ছাঁট, ষাট, সাত
ছাঁট – ধরন (চুলের ছাঁট)
ষাট – ৬০ সংখ্যা
সাত – ৭ সংখ্যা
ছাতা, ছাঁটা, সাঁটা, সাতা
ছাতা – ছত্র, umbrella। ছত্রাক। ময়লা
ছাঁটা – কেটে ছোটো করা
সাঁটা – এঁটে দেয়া
সাতা – সাত ফোঁটাযুক্ত তাস
ছাড়, ছার, ষাঁড়, সার
ছাড় – মূল্যহ্রাস, discount
ছার – অসার
ষাঁড় – বৃষ, ষণ্ড
সার – মর্মার্থ। জমির উর্বরতা বৃদ্ধিকারক পদার্থ, fertilizer
স্যার – মহোদয়, sir
ছাড়া, সারা, সাড়া
ছাড়া – পরিত্যাগ করা
সারা – সমগ্র, সম্পূর্ণ। মেরামত করা
সাড়া – ধ্বনি, আওয়াজ
ছাল, শাল, সাল
ছাল – বাকল, খোসা
শাল – বৃক্ষবিশেষ, শাল গাছ
সাল – বছর
ছিন্ন, স্বিন্ন
ছিন্ন – ছিঁড়ে গেছে বা ছেঁড়া হয়েছে এমন। ঝরে পড়েছে এমন
স্বিন্ন – স্বেদযুক্ত, ঘর্মাক্ত। সিক্ত, আর্দ্র। রন্ধিত
ছুট, ছোট/ছোটো, শত, স্বত, সুত, সূত
ছুট – দৌড়
ছোট, ছোটো – ক্ষুদ্র
শত – ১০০ সংখ্যা
স্বত (উচ্চারণ শতো) – স্বয়ং, নিজে
সুত (উচ্চারণ শুতো) – পুত্র
সূত (উচ্চারণ শুতো) – জাত, সারথি
ছুটা, ছোটা, ছুতা, সুতা, সোঁটা, সোঁতা
ছুটা, ছোটা – দৌড়ানো
ছুতা – অজুহাত
সুতা – তন্তু
সোঁটা – লাঠিবিশেষ
সোঁতা – ক্ষীণ স্রোত
ছুটি, সুতি, সূতি
ছুটি – অবকাশ
সুতি – কার্পাস সুতোর তৈরি
সূতি – জন্ম, প্রসব
ছেদ, স্বেদ
ছেদ – কর্তন, ছেদন। বিরাম। ভাগ, অধ্যায়। যতিচিহ্ন
স্বেদ – ঘাম। বাষ্প। তাপ
ছেদন, স্বেদন
ছেদন – বিচ্ছিন্নকরণ, কর্তন
স্বেদন – ঘাম নিঃসারণ। তাপপ্রয়োগ
ছেদবিন্দু, স্বেদবিন্দু
ছেদবিন্দু – যে বিন্দুতে দুই বা ততোধিক রেখা ছেদ করে
স্বেদবিন্দু – ঘামের ফোঁটা
ছোট্ট, ষত্ব, সত্য, সত্ত্ব, স্বত্ব
ছোট্ট – অত্যন্ত ছোটো, অতি ক্ষুদ্র
ষত্ব – ষ-সংক্রান্ত (যেমন:- ষত্ববিধি)
সত্য – প্রকৃত, বাস্তব
সত্ত্ব – সত্তা
স্বত্ব – অধিকার, মালিকানা
ছোবল, শবল, সবল
ছোবল – সর্পাঘাত, দংশন
শবল – নানা বর্ণযুক্ত, বিচিত্র বর্ণে শোভিত
সবল – শক্তিশালী, বলবান। সুস্থ
ছোরা, শোরা, সূরা, সুরা
ছোরা – বড়ো আকারের ছুরি
শুরা –
শোরা – যবক্ষার, potassium nitrate
সূরা – পবিত্র কুরআনের ১১৪টি অধ্যায় (বাংলা একাডেমি’র প্রমিত বানান “সুরা”)
সুরা – মদ্য, শরাব
ছোলানো, শুলানো
ছোলানো – অন্যকে দিয়ে ছাল বা খোসা ছাড়ানো, চাঁছানো
শুলানো – যন্ত্রণা বা ব্যথা বোধ করা
ছ্যাকা, সেঁকা
ছ্যাঁকা – শরীরে তপ্ত বস্তুর স্পর্শজনিত জ্বালাকর অনুভূতি। সেঁকা, সামান্য তেলে ভাজা
সেঁকা – তাপ প্রয়োগ করে প্রস্তুত করা
জনপথ, জলপথ
জনপথ – সর্বজনের যাতায়াতের পথ, মহাসড়ক
জলপথ – নৌকা জাহাজ প্রভৃতি জলযান চলাচলের পথ
জপ, ঝোপ
জপ – মনে মনে বা অনুচ্চস্বরে বারবার আবৃত্তি
ঝোপ – ঝাড় বা জঙ্গল
জবান, যবন
জবান – জিহ্বা, জিভ। ভাষা, বুলি। বাণী, বাক্য। প্রতিশ্রুতি
যবন – প্রাচীন গ্রিক জাতি। অহিন্দু বা ম্লেচ্ছ জাতি
জলসা, ঝলসা
জলসা – আসর, বৈঠক, মজলিস
ঝলসা – আগুনে সেঁকে নেওয়া
জড়, জর, জ্বর, ঝড়
জড় – অচেতন
জর – স্বর্ণ
জ্বর – দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
ঝড় – তুফান
জড়া, জরা, ঝরা, ঝোরা
জড়া – জট
জরা – বার্ধক্য
ঝরা – ঝরে পড়া, খসে পড়া
ঝোরা – ঝরনা
জড়ো, ঝরো, ঝোড়ো
জড়ো – স্তূপীকৃত, সংগৃহীত
ঝরো ঝরো – অবিরাম বৃষ্টির শব্দ
ঝোড়ো – ঝড় সম্বন্ধীয়
জাঁক, ঝাঁক
জাঁক – আড়ম্বর, ঘটা
ঝাঁক – (পাখি, পতঙ্গ, মাছ ইত্যাদির) দল
জাউ, ঝাউ
জাউ – মাড়সহকারে রাঁধা নরম ভাত
ঝাউ – সাগর বা নদীর তীরে জাত বৃক্ষবিশেষ
জাত, যাত
জাত (উচ্চারণ জাতো) – জন্মেছে এমন। উৎপন্ন। সঞ্চিত, রক্ষিত
জাত (উচ্চারণ জাত্) – বংশগত বা জন্মগত সামাজিক শ্রেণি। শ্রেণি, প্রকার
যাত (উচ্চারণ জাতো) – অতীত, গত। বিদিত, জ্ঞাত। লব্ধ, প্রাপ্ত
জাঁতা, যা-তা, যাতা
জাঁতা – পেষণযন্ত্র। পেষণ করা
যা-তা – খেলো, বাজে। ইচ্ছামাফিক
যাতা – যে গমন করে, গমনকর্তা। সারথি, রথচালক। পথিক। স্বামীর ভাইয়ের পত্নী, জা
জাতি, যাঁতি
জাতি – প্রকার, শ্রেণি
জাঁতি – সুপারি কাটার অস্ত্রবিশেষ, সরতা। জাঁতাকল
যাত্রী – যাত্রাকারী, গমনকারী। ভ্রমণকারী
জান, যান
জান – জীবন
যান – বাহন
জাম, যাম
জাম – ফলবিশেষ। যানজট
যাম – দিবারাত্রির আট ভাগের এক ভাগ সময়, এক প্রহর, তিন ঘণ্টা
জারা, ঝাড়া, যারা, যাঁরা
জারা – জীর্ণ করা, শোধন করা
ঝাড়া – ঝেড়ে পরিষ্কার করা
যারা – যাহারা
যাঁরা – যাঁহারা (শ্রদ্ধা ও সম্মান সূচক)
জাল, জ্বাল, ঝাল
জাল – নকল, ফাঁদ
জ্বাল – আগুনের আঁচ
ঝাল – কটু স্বাদযুক্ত
জায়গা, যাইগা
জায়গা – ঠাঁই, স্থান। ভূসম্পত্তি
যাইগা – “চলে যাই”-এর আঞ্চলিক রূপ
জিভ, জীব
জিভ – জিহ্বা
জীব – প্রাণী
জুটি, জ্যোতি, যতি, যুতি
জুটি – জুড়ি, দোসর
জ্যোতি – দীপ্তি
যতি – সন্ন্যাসী। ভিক্ষু। পরিব্রাজক। বিধবা। যতিচিহ্ন
যুতি – যোগ, মিলন, মিশ্রণ। ঘোড়ার সঙ্গে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার দড়ি বা চামড়ার বন্ধনী
জুতা, জোটা, জোতা
জুতা – পাদুকা
জোটা – জোগাড় হওয়া
জোতা – যুক্ত করা
জুড়ি, জুরি, ঝুড়ি, ঝুরি
জুড়ি – যুগ্ম, সমকক্ষ
জুরি – নির্ণায়ক সভা, jury
ঝুড়ি – বাঁশ বা বেতের তৈরি পাত্রবিশেষ
ঝুরি – গাছের শাখাপ্রশাখা থেকে ঝুলে আসা শিকড়সদৃশ জটা
জোড়, জোর
জোড় – জোড়া, সংযোগ
জোর – ক্ষমতা, শক্তি
জোঁক, ঝোঁক
জোঁক – জলৌকা, রক্তপায়ী জলকীটবিশেষ
ঝোঁক – প্রবণতা, আগ্রহ
টাক, টাঁক, তাক
টাক – চুলহীন মাথা
টাঁক – বড়ো বড়ো ফোঁড়ের সেলাই (tuck)
তাক – নিশানা, লক্ষ্য। থাক
টাকা, টাঁকা, তাকা
টাকা – অর্থ, ধনসম্পত্তি
টাঁকা – বড়ো বড়ো ফোঁড়ে সেলাই করা। অনুমান করা
তাকা – অমঙ্গল কামনা করা। আন্দাজ বা অনুমান করা। অপেক্ষা করা।
টান, তান
টান – দৃঢ়সংবদ্ধ
তান – সংগীতের সুর বা রাগের বিস্তার
টিকা, টীকা
টিকা – ভেকসিন (vaccine)। টিকে থাকা
টীকা – ব্যাখ্যা, টিপ্পনী
টোপ, তোপ
টোপ – মুকুট, শিরোভূষণ। বড়শিতে গাঁথা মাছের খাদ্য
তোপ – কামান
ডবল, ধবল
ডবল – দ্বিগুণ, double
ধবল – সাদা, শুভ্র
ডর, দর, দড়, ধর, ধড়
ডর – আতঙ্ক, ভয়
দর – দাম, মূল্য
দড় – মজবুত, দৃঢ়। পটু, দক্ষ
ধর – তুচ্ছার্থে ধরবার অনুজ্ঞা। পদবিবিশেষ
ধড় – মস্তকহীন সমগ্র দেহ, মাথা ব্যতীত সমগ্র দেহ
ডলাডলি, ঢলাঢলি, দলাদলি
ডলাডলি – টেপাটিপি
ঢলাঢলি – অতিরিক্ত মাখামাখি
দলাদলি – দলের অভ্যন্তরে মতবিরোধের ফলে বিভাজন
ডাক, ঢাক
ডাক – চিঠিপত্র। বুলি, হাঁক
ঢাক – ঢোলজাতীয় বাদ্যযন্ত্র
ডাকা, ঢাকা
ডাকা – আহ্বান করা
ঢাকা – আবৃত করা
ডাঙা, দাঙ্গা
ডাঙা – তীর, শুকনো জায়গা
দাঙ্গা – দলবদ্ধ হানাহানি
ডাব, দাব
ডাব – কচি নারকেল
দাব – অরণ্য। আগুন। আধিপত্য
ডাল, ঢাল
ডাল – গাছের শাখা। কলাইজাতীয় শস্য
ঢাল – বর্ম
ডোল, ঢোল
ডোল – শস্যাদি রাখার বড়ো পাত্রবিশেষ
ঢোল – বাদ্যযন্ত্রবিশেষ
দুল – কানের গহনাবিশেষ
দোল – দোলন, দোলা, আন্দোলন
ঢল, দল
ঢল – জলস্ফীতি
দল – জোট। পাপড়ি
ঢলা, দলা
ঢলা – হেলে পড়া
দলা – ঢিল, ডেলা, পিণ্ড। দলন করা, মাড়ানো
ঢিল, দিল
ঢিল – ঢেলা। শিথিল, আলগা
দিল – হৃদয়, মন
ঢের, দেড়
ঢের – যথেষ্ট, অনেক
দেড় – এক এবং অর্ধ (১.৫)
ঢোলক, দলক
ঢোলক – ছোটো ঢোল
দলক – অবিরাম বৃষ্টিপাত। ঢেলা
দোলক – পেন্ডুলাম, pendulum
তক্ষণী, তক্ষুনি
তক্ষণী – ছেনি
তক্ষুনি – সেই মুহূর্তেই, তৎক্ষণাৎ
তট, তৎ
তট – তীর, কিনারা
তৎ – সে, তিনি
তরণি, তরুণী
তরণি – যার সাহায্যে পার হওয়া যায়। সূর্য
তরুণী – যুবতি
তড়িৎ, ত্বরিত
তড়িৎ – বিদ্যুৎ
ত্বরিত – দ্রুত, শীঘ্র
তাদৃশ, ত্বাদৃশ
তাদৃশ – সেইরকম, তদ্রূপ
ত্বাদৃশ – তোমার মতো
তাড়া, তারা, তাঁরা
তাড়া – ধাওয়া করা। ব্যস্ততা
তারা – নক্ষত্র। ‘তাহারা’ শব্দের চলিত রূপ
তাঁরা – তারা/তাহারা শব্দের সম্মানসূচক রূপ
তির, তীর
তির – বাণ, শর
তীর – কূল, পাড়
তুর্য, তূর্য
তুর্য – বৃত্তপরিধির চতুর্থাংশ। চতুর্থ
তূর্য – প্রাচীন রণবাদ্যবিশেষ
তুষ, তুস
তুষ – ধান সরিষা প্রভৃতি শস্যের খোসা
তুস – নরম পশমি কাপড়বিশেষ
তৃষ্ণা, ত্রিশ না
তৃষ্ণা – পিপাসা, তেষ্টা
ত্রিশ না – ৩০ সংখ্যা নয় এমন
তোরা, ত্বরা
তোরা – তুই-এর বহুবচন
ত্বরা – দ্রুততা। ব্যস্ততা, ব্যগ্রতা। তাড়া, তাগাদা
তোড়া – গুচ্ছ, গোছা
ত্রৈবিদ্য, ত্রৈবিধ্য
ত্রৈবিদ্য – তিনটি বেদ (ঋক্ সাম ও যজুঃ) অধ্যয়ন করেছেন এমন পণ্ডিত ব্যক্তি
ত্রৈবিধ্য – ত্রিবিধত্ব
দড়ি, দরি, ধরি
দড়ি – কাছি, রজ্জু
দরি – গিরিগুহা, কন্দর। শতরঞ্চি, সুজনি
ধরি – ধরবার অনুজ্ঞা।
দরিয়া, ধরিয়া
দরিয়া – সাগর। বড়ো নদী
ধরিয়া – ধরে শব্দের সাধু রূপ
দাদা, ধাঁধা
দাদা – পিতামহ, দাদু। বড়ো ভাই।
ধাঁধা – কৌতূহলোদ্দীপক জটিল প্রশ্ন
দান, ধান
দান – প্রদান। সদকা, উৎসর্গ।
ধান – শস্যবিশেষ, ধান্য
দামি, ধামি
দামি – মূল্যবান
ধামি – ছোটো ধামা
দার, দ্বার, দাঁড়, ধার
দার – পত্নী
দ্বার – দরজা, কপাট
দাঁড় – নৌকার বৈঠা। অপেক্ষারত অবস্থা
ধার – কর্জ। প্রান্ত, কিনারা। অস্ত্রের তীক্ষ্ণতা
দাশ, দাস
দাশ – পদবিবিশেষ
দাস – ক্রীতদাস
দাড়ি, দাঁড়ি
দাড়ি – শ্মশ্রু
দাঁড়ি – পূর্ণচ্ছেদচিহ্ন। যে ব্যক্তি নৌকার দাঁড় টানে
দিদি, দিধি
দিদি – বড়ো বোন, আপা
দিধি – ধীরতা, ধৈর্য
দিন, দীন, দ্বীন
দিন – দিবস, দিবা। ধর্ম
দীন – দরিদ্র
দ্বীন – ধর্ম
দিননাথ, দীননাথ
দিননাথ – সূর্য
দীননাথ – দরিদ্রের আশ্রয় বা সহায়। ঈশ্বর
দীপ, দ্বিপ, দ্বীপ
দীপ – প্রদীপ
দ্বিপ – হাতি
দ্বীপ – জলবেষ্টিত স্থান
দীপ্ত, দৃপ্ত
দীপ্ত – উজ্জ্বল
দৃপ্ত – দর্পযুক্ত, গর্বিত
দু’কান, দোকান
দু’কান – ‘দুই কান’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ
দোকান – বিপণি, পণ্যশালা
দুআ/দুয়া/দোয়া, ধুয়া, ধোয়া, ধোঁয়া
দুআ, দুয়া, দোয়া – প্রার্থনা, আশীর্বাদ
ধুয়া – যে উক্তি বারবার করা হয়। আবদার, ছল, ছুতা
ধোয়া – পরিষ্কার করা, ধৌত করা
ধোঁয়া – ধূম, ধূম্র
দুইশ তিন, দুই সতিন
দুইশ তিন – ২০৩ সংখ্যা
দুই সতিন – দুইজন সতিন
দুকুল, দুকূল
দুকুল – পিতার বংশ ও মাতার বংশ
দুকূল – উভয় তট, দুই তীর
দুবাই, দু’ভাই
দুবাই – সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE)-এর সর্ববৃহৎ শহর
দু’ভাই – ‘দুই ভাই’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ
দুল না, দোলনা
দুল না – কানের দুল নয়
দোলনা – দোল খাওয়ার আসন
দূত, দ্যূত
দূত – রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। বার্তাবহ
দ্যূত – জুয়া
দূষণ, দোষণ
দূষণ – কলুষিতকরণ
দোষণ – অপরের দোষত্রুটি নির্দেশ
দেশ, দ্বেষ
দেশ – রাষ্ট্র, রাজ্য
দ্বেষ – হিংসা, ঈর্ষা
দোসর, ধূসর
দোসর – সঙ্গী, সহচর
ধূসর – পাংশু, ছাই রং
দ্বারা, ধারা
দ্বারা – দিয়ে, কর্তৃক
ধারা – প্রবাহ। আইনের বিধি
ধনি, ধনী, ধ্বনি
ধনি – সুন্দরী নারী। ভাগ্যবতী
ধনী – ধনবান, বিত্তশালী
ধ্বনি – শব্দ, রব
ধরা, ধড়া
ধরা – পৃথিবী। ধারণ করা
ধড়া – কটিবসন। ধুতি
ধুম, ধূম
ধুম – সমারোহ, আড়ম্বর, ঘটা, জাঁকজমক
ধূম – ধূম্র, ধোঁয়া
নকল, নকুল
নকল – কৃত্রিম, জাল। অনুলিপি, প্রতিলিপি
নকুল – বেজি, নেউল
নন্দিত, নিন্দিত
নন্দিত – আনন্দিত
নিন্দিত – অপ্রশংসিত। আপত্তিকর, অনুচিত
নাড়ি, নারি, নারী
নাড়ি – ধমনি, শিরা
নারি – পারি না
নারী – মহিলা
নিবীত, নিবৃত, নিবৃত্ত, নির্বৃত্ত, নিভৃত
নিবীত – ওড়না, উত্তরীয়
নিবৃত – পরিখাবেষ্টিত, আবৃত। ওড়না, উত্তরীয়
নির্বৃত – সুখী। শান্ত। মুক্ত। মৃত। অস্তমিত
নিবৃত্ত – বিরত, ক্ষান্ত
নির্বৃত্ত – সম্পন্ন। নিষ্পন্ন। উৎপন্ন
নিভৃত – নিরিবিলি, নির্জন
নিরস্ত, নিরস্ত্র
নিরস্ত – বিরত। নিবৃত্ত। খণ্ডিত। দূরীভূত
নিরস্ত্র – অস্ত্রশূন্য
নিষ্ঠাবান, নিষ্ঠীবন
নিষ্ঠাবান – নিষ্ঠা আছে এমন
নিষ্ঠীবন – থুতু
নীড়, নীর
নীড় – পাখির বাসা
নীর – পানি, জল
নেতৃবৃন্দ, নেত্রীবৃন্দ
নেতৃবৃন্দ – নেতাবর্গ
নেত্রীবৃন্দ – ‘নেত্রী’ শব্দের বহুবচন
নৈতিক, নৈত্যিক
নৈতিক – নীতিসংক্রান্ত
নৈত্যিক – নিত্যকার, প্রতিদিনের
পদ্ম, পদ্য
পদ্ম – উৎপল, কমল, শতদল
পদ্য – কবিতা, শ্লোক
পরপর, পড়পড়
পরপর – ক্রমান্বয়ে
পড়পড় – পতনোন্মুখ। কাপড় ছেঁড়ার শব্দ
পরভৃত, পরভৃৎ
পরভৃত – কোকিল, অন্যভৃত
পরভৃৎ – কাক, অন্যভৃৎ
পরশ্ব, পরস্ব
পরশ্ব – পরশু, গতপরশু
পরস্ব – অন্যের বিত্ত বা সম্পদ
পরামর্শ, পরামর্ষ
পরামর্শ – মন্ত্রণা। উপদেশ
পরামর্ষ – সহ্যকরণ। ক্ষমা
পরুষ, পুরুষ
পরুষ – কর্কশ। উগ্র। কঠোর
পুরুষ – নর
পলল, পল্বল
পলল – পলিজাত, পলিময়
পল্বল – বিল ডোবা প্রভৃতি ছোটো জলাশয়
পাক, পাঁক
পাক – পবিত্র, পূত। রন্ধন, রান্না। হজম, পরিপাক। আবর্তন, প্রদক্ষিক
পাঁক – কাদা, কর্দম
পাকস্থলী, পাকস্থালী
পাকস্থলী – পক্বাশয়, পাকাশয়
পাকস্থালী – রান্নার পাত্র
পাজি, পাঁজি
পাজি – উদ্ধত
পাঁজি – পঞ্জিকা
পাট, পাত
পাট – উদ্ভিদবিশেষ
পাত – গাছের পাতা। ধাতুর পাত
পাটা, পাতা
পাটা – বাটনা পেষণের শিল
পাতা – পত্র। বিছিয়ে দেয়া
পাণি, পানি, প্রাণী
পাণি – হাত, হস্ত
পানি – জল
প্রাণী – জীব
পাপড়, পাঁপড়
পাপড় – রুটিজাতীয় মচমচে খাদ্যবস্তু
পাঁপর – যার মোকদ্দমার ব্যয় সরকার বহন করে
পাঁপড় – রুটিজাতীয় মচমচে খাদ্যবস্তু
পার, পাড়
পার – পেরোনো, অতিক্রম করা (সেতু পার)
পাড় – তীর, কূল
পারি, পাড়ি
পারি – সমর্থ বা সক্ষম হই
পাড়ি – পারাপার
পাহারা, পা-হারা
পাহারা – চৌকি, প্রহরীর কাজ
পা-হারা – পাবিহীন, পা বিচ্ছিন্ন
পিঠ, পীঠ
পিঠ – পৃষ্ঠ, পশ্চাৎ
পীঠ – বেদি। প্রতিষ্ঠান
পুছা, পুঁছা
পুছা – জিজ্ঞাসা করা। পরোয়া করা
পুঁছা, পোঁছা – মোছা
পোষা – পোষণ করা, লালনপালন করা
পুণ্য, পূর্ণ
পুণ্য – সৎকর্ম
পূর্ণ – পরিপূর্ণ
পুতা, পুঁতা
পুতা – নোড়া, শিলের ওপর রেখে বাটনা পেষণের প্রস্তরখণ্ড
পুঁতা – রোপণ করা
পুতি, পুঁতি
পুতি – পৌত্রী
পুঁতি – গুটি
পূর্বাভাষ, পূর্বাভাস
পূর্বাভাষ – ভূমিকা, মুখবন্ধ
পূর্বাভাস – আগাম সতর্কবার্তা
পোচ, পোঁচ
পোচ – অল্প তেল বা ফুটন্ত জলে পক্ব ডিম, poach
পোঁচ – ছুরির টান
পোটলা, পোঁটলা
পোটলা
পোঁটলা, পোটলা – বড়ো পুঁটলি, গাঁটরি, বোঁচকা
প্যাড়া, প্যাঁড়া
প্যাড়া – বেতের তৈরি বড়ো ঝাঁপিবিশেষ
প্যাঁড়া – ক্ষীরের তৈরি চ্যাপ্টা মিঠাইবিশেষ
প্রচ্ছন্ন, প্রসন্ন
প্রচ্ছন্ন – অব্যক্ত, লুক্কায়িত
প্রসন্ন – সন্তুষ্ট, তৃপ্ত, প্রফুল্ল
প্রতিভাষ, প্রতিভাস
প্রতিভাষ – পাল্টা জবাব
প্রতিভাস – আকস্মিকভাবে কোনো কিছু উপলব্ধি
প্রতিষ্ঠাপন, প্রতিস্থাপন
প্রতিষ্ঠাপন – প্রতিষ্ঠা
প্রতিস্থাপন – পরিবর্তে স্থাপন
প্রতিসরণ, প্রতিসারণ
প্রতিসরণ – refraction
প্রতিসারণ – অপসারণ, দূরীকরণ
প্রত্যহ, প্রত্যূহ
প্রত্যহ – প্রতিদিন, রোজ
প্রত্যূহ – বাধা, অন্তরায়
প্রদান, প্রধান
প্রদান – অর্পণ
প্রধান – মুখ্য
প্রপঞ্চিত, প্রবঞ্চিত
প্রপঞ্চিত – বিস্তীর্ণ, প্রসারিত
প্রবঞ্চিত – প্রতারিত
প্রবৃত্তি, প্রভৃতি
প্রবৃত্তি – প্রবণতা। আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা
প্রভৃতি – ইত্যাদি
প্রশস্ত, প্রশস্য
প্রশস্ত – উদার। চওড়া
প্রশস্য – প্রশংসনীয়
প্রসক্তি, প্রসত্তি
প্রসক্তি – প্রবল আসক্তি
প্রসত্তি – প্রসন্নতা, সন্তুষ্টি
ফজর, ফরজ
ফজর – উষাকাল, প্রত্যুষ
ফরজ – ইসলাম ধর্মীয় বিধান অনুসারে অবশ্যপালনীয় কাজ
ফান্ড, ফান্দ
ফান্ড – তহবিল, পুঁজি, fund
ফান্দ – ফাঁদ
ফাড়া, ফাঁড়া
ফাড়া – বিদীর্ণ করা, চেরা
ফাঁড়া – জ্যোতিষ গণনানুযায়ী বিপদের সম্ভাবনা
ফুক, ফুঁক
ফুক – অতি দ্রুততার ভাব
ফুঁক – ফুৎকার, ফুঁ
ফুকা, ফুঁকা
ফুকা – অতিরিক্ত দুধ পাওয়ার জন্য গাভীর যোনিমুখে ফুঁ দেওয়া
ফুঁকা – ‘ফোঁকা’-র সাধু রূপ
ফুপা, ফুঁপা
ফুপা – ফুপুর স্বামী
ফুঁপা – গুমরে কাঁদা বা ক্ষোভ প্রকাশ করা
ফোটা, ফোঁটা
ফোটা – প্রস্ফুটিত হওয়া
ফোঁটা – তরল পদার্থের বিন্দু
ফোড়া, ফোঁড়া
ফোড়া – অর্বুদ, স্ফোটক
ফোঁড়া – বিদ্ধ করা, ছিদ্র করা
বই, ভয়
বই – পুস্তক
ভয় – ভীতি, আতঙ্ক
বউল, বোল, ভোল
বউল – আমের মুকুল
বোল – আমের মুকুল। বচন, কথা, বুলি, ভাষা
ভোল – পরিচ্ছদ, বেশ। ছদ্মবেশ। আত্মবিস্মৃত
বক্তব্য, ভোক্তব্য
বক্তব্য – কথা, আলোচ্য বিষয়
ভোক্তব্য – ভোজনের উপযুক্ত। উপভোগের যোগ্য
বগল, ভগোল, ভূগোল
বগল – বাহুমূলের নিম্নদেশ
ভগোল – রাশিচক্র
ভূগোল – ভূগোলবিদ্যা, geography
বঙ্গ, ভঙ্গ
বঙ্গ – বাংলাদেশের প্রাচীন নাম
ভঙ্গ – ভাঙন
ভঙ্গ্য – ভাঙা যায় এমন
বজ্র, বর্জ্য
বজ্র – বাজ, অশনি
বর্জ্য – আবর্জনা
বড্ড, বদ্ধ, বধ্য
বড্ড – বড়ো, বৃহৎ, বিশাল। অত্যন্ত, খুব
বদ্ধ – আবদ্ধ, বাঁধা
বধ্য – বধের যোগ্য
বন্দ, বন্দ্য, বন্ধ, বন্ধ্, বন্ধ্য
বন্দ – অবরোধ
বন্দ্য – বন্দনীয়, পূজনীয়
বন্ধ – বন্ধনী, বাঁধার উপরকণ
বন্ধ্ – হরতাল
বন্ধ্য – নিঃসন্তান, সন্তানহীন
বন্দক, বন্ধক
বন্দক – বন্দনাকারী, প্রণামকারী
বন্ধক – ঋণের জামিনস্বরূপ কোনো বস্তু জমা রাখার ব্যবস্থা
বন্দন, বন্ধন
বন্দন – প্রণাম। স্তুতি
বন্ধন – বাঁধন
বন্দনা, বন্ধ না
বন্দনা – স্তব, স্তুতি। পূজা, অর্চনা
বন্ধ না – বন্ধ নয় এমন, খোলা
বন্দুক, বন্ধুক
বন্দুক – আগ্নেয়াস্ত্র
বন্ধুক – এক প্রকার উদ্ভিদ, বন্ধুলি, বাঁধুলি
বর, বড়/বড়ো, ভর
বর – বিবাহের পাত্র। স্বামী। আশীর্বাদ
বড়, বড়ো – বৃহৎ, বিশাল
ভর – অবলম্বন, নির্ভর। ওজন
বরণ, ভরণ, ভরন
বরণ – রং, বর্ণ-এর কোমল রূপ। সাদরে গ্রহণ, অভ্যর্থনা
বরন – রং অর্থে বর্ণ-এর কোমল ও কাব্যিক রূপ
ভরণ – পূর্ণকরণ
ভরন – তামা দস্তা ও রাং মিশ্রিত নিকৃষ্ট মানের কাঁসা, bronze
বরাঙ্গনা, বারঙ্গনা, বীরঙ্গনা
বরাঙ্গনা – সুন্দরী বা শ্রেষ্ঠ নারী
বারাঙ্গনা – গণিকা, বেশ্যা
বীরাঙ্গনা – বীরনারী
বর্ষমাণ, বর্ষমান
বর্ষমাণ – বর্ষিত হচ্ছে এমন, বর্ষণশীল
বর্ষমান – বৃষ্টি পরিমাপক সরঞ্জাম, rain gauge
বর্ষা, বর্শা, ভরসা
বর্ষা – আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসব্যাপী ঋতু। বৃষ্টিপাত
বর্শা – শূল, কোঁচ
ভরসা – নির্ভর, আস্থা, বিশ্বাস। আশ্রয়, অবলম্বন। আশা
বলি, বলী
বলি – যজ্ঞাদি উপলক্ষ্যে প্রাণিহত্যা। বিসর্জন। বলিরেখা
বলী – বলবান
বশ, বস, ভস
বশ – আজ্ঞাধীন, অনুগত
বস – মনিব, সরদার, boss
ভস – বালি বা মাটি প্রভৃতি শিথিল হয়ে ধসে পড়ার অনুকার শব্দ
বশংগত, বংশগত
বশংগত – বশবর্তী। অধীন
বংশগত – বংশানুক্রমে প্রাপ্ত
বড়ি, ভরি
বড়ি – ওষুধের গুলি
ভরি – ওজনের এককবিশেষ, তোলা
বহুবিদ, বহুবিধ
বহুবিদ – অনেক বিষয়ে জানেন এমন, বহুজ্ঞ, বহুবিৎ
বহুবিধ – নানা প্রকার
বাগান, বাগানো, ভাগানো
বাগান – উদ্যান, উপবন
বাগানো – কৌশলে আয়ত্তে আনা, বশে আনা। আদায় করা
ভাগানো – তাড়িয়ে দেওয়া, পালাতে বাধ্য করা
বাগার, ভাগাড়
বাগার – তরকারির স্বাদ বৃদ্ধির জন্য গরম তেল বা ঘিয়ে ভাজা শুকনা মরিচ জিরা তেজপাতা প্রভৃতি মসলার মিশ্রণ, ফোড়ন, সম্বরা
ভাগাড় – যেখানে মৃত জীবজন্তু ফেলা হয়
বাগুরা, বাগুড়া
বাগুরা – জাল, ফাঁদ
বাগুড়া – তাল নারকেল প্রভৃতি শাখাহীন গাছের বোঁটাযুক্ত পাতা, বাইল
বাঘ, ভাগ
বাঘ – ব্যাঘ্র, শার্দূল
ভাগ – টুকরো, খণ্ড। বিভাজন
বাঙ্গি, ভাঙ্গি
বাঙ্গি – ফলবিশেষ, ফুটি
ভাঙ্গি – ভাংসেবী, ভাঙড়
বাছ, বাস, বাঁশ, ভাস
বাছ – নির্বাচন, বাছাই, পছন্দ
বাস – সুগন্ধ, সৌরভ। বাসস্থান। সড়কযানবিশেষ, bus
বাঁশ – বংশ, বেণু
ভাস – দীপ্তি, প্রভা, উজ্জ্বলতা
বাছন, বাসন, ভাষণ, ভাসন
বাছন – নির্বাচন, মনোনয়ন
বাসন – সুবাসিতকরণ। আহারের পাত্র
ভাষণ – বক্তৃতা
ভাসন – ভেসে থাকার অবস্থা
বাছা, বাসা, ভাষা, ভাসা
বাছা – বৎস, সন্তান। বাছাই করা
বাসা – নীড়, বাসস্থান, বাড়ি
ভাষা – কথা, উক্তি
ভাসা – ভেসে থাকা
বাছুর, ভাসুর
বাছুর – গোশাবক, গোবৎস
ভাশুর – স্বামীর বড়ো ভাই
বাজা, বাঁজা
বাজা – ধ্বনিত হওয়া। সময় নির্দেশ করা
বাঁজা – বন্ধ্যা, সন্তান ধারণে অক্ষম এমন
বাজি, বাজী
বাজি – জুয়াখেলার পণ
বাজী – ঘোড়া, অশ্ব
বাট, বাত, ভাট, ভাত
বাট – পথ, রাস্তা। ভিটা, গৃহ
বাত – বায়ু, বাতাস। মাংসপেশি বা অস্থিসন্ধিতে প্রদাহজনিত রোগ
ভাট – জাতিবিশেষ। চারণকবি
ভাত – সেদ্ধ করে রাঁধা চাল, অন্ন
বাটা, ভাটা
বাটা – পেষণ করা
ভাটা – চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণে সমুদ্র বা নদীতে জলের পৃষ্ঠতলের অবনতি। হ্রাস, কমতি
বাটি, বাতি, ভাটি, ভাতি
বাটি – প্রান্তভাগ উঁচু ও হাতলবিহীন ছোটো পাত্রবিশেষ
বাতি – দীপ
ভাটি – ইট চুন প্রভৃতি পোড়ানোর চুলা
ভাতি – শোভা, দীপ্তি
বাণী, বানি
বাণী – কথা, ভাষা, উক্তি
বানি – গয়না তৈরির মজুরি
বাদ, বাঁধ
বাদ – ছাড়, বিয়োগ
বাঁধ – জলপ্রবাহ রোধ করার জন্য নির্মিত প্রাচীর
বাদর, বাঁদর
বাদর – মেঘ। বৃষ্টি, বর্ষাঋতু
বাঁদর – বানর, শাখামৃগ
বাদ্য, বাধ্য
বাদ্য – বাদ্যধ্বনি, বাজনা
বাধ্য – অনুগত
বাধন, বাঁধন
বাধন – পীড়ন
বাঁধন – বন্ধন
বাধা, বাঁধা
বাধা – প্রতিবন্ধ, অন্তরায়, বিঘ্ন
বাঁধা – আবদ্ধ করা
বাবা, ভাবা
বাবা – পিতা, জনক
ভাবা – চিন্তা করা। বিবেচনা করা
বারা, বাড়া, ভারা, ভাড়া
বারা – বারণ করা, বাধা দেয়া
বাড়া – বৃদ্ধি পাওয়া
ভারা – উঁচুতে কাজ করার জন্য বাঁশ বা কাঠের তৈরি মঞ্চ
ভাড়া – ব্যবহারের জন্য প্রদেয় মাশুল
বারি, বাড়ি, ভারি, ভারী
বারি – পানি। বৃষ্টি
বাড়ি – বাসস্থান
ভারি – খুব, অত্যন্ত, অতিশয়, অত্যধিক
ভারী – অতিরিক্ত ভারযুক্ত
বাল্ব, ভালভ
বাল্ব – উদ্ভিদের ভূগর্ভস্থ কন্দ। বৈদ্যুতিক বাতি, bulb
ভালভ – কপাটিকা, valve
বাঁশি, বাসি
বাঁশি – বংশী, বাদ্যযন্ত্রবিশেষ
বাসি – টাটকা নয় এমন
বিকৃত, বিক্রীত, বিক্রীড়িত
বিকৃত – বিকারপ্রাপ্ত
বিক্রীত – বিক্রি করা হয়েছে এমন
বিক্রীড়িত – নানারকম খেলা
বিগ্ন, বিঘ্ন
বিগ্ন – উৎকণ্ঠিত, শঙ্কিত
বিঘ্ন – ব্যাঘাত, বাধা
বিচি, বীচি
বিচি – বীজ, আঁটি
বীচি – ঢেউ। কিরণ
বিজিত, বিজেতা
বিজিত – পরাজিত। জয়কৃত
বিজেতা – জয়লাভকারী, জয়ী
বিদায়, বিধায়
বিদায় – দূরীকরণ, বিতারণ। প্রস্থান
বিধায় – হেতু, জন্য, কারণে
বিদ্ধ, বৃদ্ধ
বিদ্ধ – ছিদ্র করা হয়েছে এমন। আঘাতপ্রাপ্ত
বৃদ্ধ – বয়োজ্যেষ্ঠ বা প্রবীণ ব্যক্তি
বিদ্যমান, ভিদ্যমান
বিদ্যমান – বিরাজমান, অস্তিত্বশীল
ভিদ্যমান – ভেদ বা বিদীর্ণ করা হচ্ছে এমন
বিনা, বীণা
বিনা – ব্যতীত, ব্যতিরেকে, ছাড়া
বীণা – বাদ্যযন্ত্রবিশেষ
বিবাদি, বিবাদী
বিবাদি – বিবাদের বিষয়ীভূত
বিবাদী – বিবাদকারী। মামলার বিরোধী পক্ষ
বিমা, ভীমা
বিমা – insurance
ভীমা – ভয়ংকরী
বিল, ভিল
বিল – বড়ো জলাশয়, হাওড়। রশিদ, bill
ভিল – ভারতের আদিম নৃগোষ্ঠীবিশেষ। বাচ্চা গোরুর গোশত, veal
বিশ, বিষ, বৃষ
বিশ – ২০ সংখ্যা
বিষ – গরল
বৃষ – ষাঁড়, বলদ
বিশেষত, বিশেষত্ব
বিশেষত – বিশেষ করে, অধিকন্তু
বিশেষত্ব – বৈশিষ্ট্য, বিশিষ্টতা
বিশ্বায়ন, বিস্মায়ন
বিশ্বায়ন – globalization
বিস্মায়ন – বিস্মাপন, বিস্ময় সৃষ্টি
বিষাদ, বিস্বাদ
বিষাদ – দুঃখ, বিষণ্নতা
বিস্বাদ – স্বাদশূন্য
বিস্কুট, ব্যাসকূট
বিস্কুট – শুকনো ও মচমচে খাদ্যবস্তুবিশেষ, biscuit
ব্যাসকূট – বেদব্যাসের রচনার দুর্বোধ্য শ্লোক
বিস্মিত, বিস্মৃত
বিস্মিত – বিস্ময়যুক্ত, আশ্চর্যান্বিত
বিস্মৃত – বিস্মৃতিযুক্ত, ভুলে গেছে এমন
বিহারি, বিহারী
বিহারি – ভারতের বিহার রাজ্যের অধিবাসী
বিহারী – বিচরণকারী
বুজা/বোজা, বুঝা, বোঝা
বুজা, বোজা – বন্ধ করা, ভরাট করা
বুঝা – বোধ করা। বিচার করে জানা (হিসাব বুঝে নেওয়া)
বোঝা – ভার। দায়িত্ব। উপলব্ধি করা
বুট, বোট, ভোট
বুট – ছোলা, চানা
বোট – নৌকা, boat
ভোট – নির্বাচন
বুদ্ধিজীবী, বৃদ্ধিজীবী
বুদ্ধিজীবী – জ্ঞান বা বুদ্ধি দ্বারা জীবিকা উপার্জন করেন এমন
বৃদ্ধিজীবী – সুদখোর, কুসীদজীবী
বুড়ি, ভুড়ি, ভূরি
বুড়ি – বৃদ্ধা। পাঁচ গন্ডা
ভুঁড়ি – মোটা পেট, স্থূল উদর
ভূরি – অনেক, প্রচুর, অতিশয়
বেটে, বেঁটে
বেটে – মোটা দড়ি
বেঁটে – খাটো, খর্বকায়
বেদ্য, বেধ্য
বেদ্য – জ্ঞাতব্য, জ্ঞেয়
বেধ্য – বেধনীয়, বিদ্ধ করার যোগ্য
বেলা, ভেলা
বেলা – সময়। সমুদ্রের তীর
ভেলা – কলাগাছ বাঁশ প্রভৃতি একসঙ্গে বেঁধে জলে ভেসে চলার বাহন
বেশি, -বেশী
বেশি – প্রাচুর্য
-বেশী – বেশধারী
বেড়া, ভেড়া
বেড়া – বেষ্টনী
ভেড়া – মেষ, গাড়ল, গড্ডল। কূলের কাছে আসা।
বেড়ানো, ভেড়ানো
বেড়ানো – ভ্রমণ করা
ভেড়ানো – তীরে লাগানো, সংলগ্ন করা
বৈচিত্ত্য, বৈচিত্র্য
বৈচিত্ত্য – মতিভ্রম, মোহ
বৈচিত্র্য – বিচিত্রতা, বিভিন্নতা
বোতল, ভূতল
বোতল – বড়ো শিশি
ভূতল – পৃথিবীপৃষ্ঠ। পাতাল
বোড়া, বোঢ়া
বোড়া – ফণাহীন বিষধর বড়ো সাপবিশেষ
বোঢ়া – বাহক, বহনকারী
ব্রহ্মত্ব, ব্রহ্মত্র
ব্রহ্মত্ব – ব্রহ্ম বা ব্রহ্মতুল্য ভাব
ব্রহ্মত্র – ব্রাহ্মণকে দেওয়া নিষ্কর জমি
ভগবৎ, ভাগবত
ভগবৎ – ভগবান, ঈশ্বর
ভাগবত – ভগবান-বিষয়ক। বৈষ্ণব
ভগীরথ, ভাগীরথী
ভগীরথ – সূর্যবংশীয় নৃপতিবিশেষ
ভাগীরথী – গঙ্গানদীর অন্য নাম, গঙ্গার শাখানদীবিশেষ
ভজন, ভোজন
ভজন – আরাধনা
ভোজন – আহার, ভক্ষণ
ভবন, ভুবন
ভবন – গৃহ, বাসস্থান
ভুবন – পৃথিবী, জগৎ
ভাই, ভায়
ভাই – ভ্রাতা, সহোদর
ভায় – দীপ্তি, শোভা, উজ্জ্বলতা
ভাগফল, ভাগ্যফল
ভাগফল – (গণিতে) এক রাশিকে অন্যান্য রাশি দিয়ে ভাগ করলে যে ফল পাওয়া যায়
ভাগ্যফল – পূর্বনির্দিষ্ট ভবিষ্যৎ শুভাশুভ
ভাবি, ভাবী
ভাবি – বড়ো ভাইয়ের স্ত্রী, বউদি
ভাবী – ভবিষ্যৎ, অনাগতকাল
ভিশন, ভীষণ
ভিশন – রূপকল্প, vision
ভীষণ – প্রচণ্ড
ভূততত্ত্ব, ভূতত্ত্ব
ভূততত্ত্ব – পদার্থবিজ্ঞান, physics
ভূতত্ত্ব – পৃথিবীর উৎপত্তি এবং ভূপৃষ্ঠ ও তার অভ্যন্তরস্থ স্তরসংক্রান্ত বিজ্ঞান, geology
ভূপতিত, ভূপাতিত
ভূপতিত – মাটির ওপরে পড়েছে এমন, ভূপৃষ্ঠে পতিত
ভূপাতিত – মাটিতে ফেলা হয়েছে এমন
ভূমধ্য, ভ্রুমধ্য
ভূমধ্য – পৃথিবীর মধ্যস্থল
ভ্রুমধ্য – দুই ভ্রুর মধ্যস্থল
ভূর্লোক, ভূলোক
ভূর্লোক – মর্ত্যলোক
ভূলোক – পৃথিবী
ভৃত, -ভৃৎ
ভৃত – অন্যের দ্বারা লালিত, পালিত
-ভৃৎ – যে লালন করে, লালনকারী
ভোঁদড়, ভোঁ-দৌড়
ভোঁদড় – উদ্বিড়াল, জলনকুল
ভোঁ-দৌড় – দ্রুত দৌড়
মঞ্জরি, মঞ্জুরি
মঞ্জরি – মুকুল। শিষ। অঙ্কুর, নবপল্লব
মঞ্জুরি – অনুমোদন। অনুদান
মণ, মন
মন, মণ – ওজনের এককবিশেষ, চল্লিশ সের
মন – চিত্ত, হৃদয়
মদ্য, মধ্য
মদ্য – মদ, সুরা
মধ্য – মাঝ। অভ্যন্তর। কেন্দ্র
মধুকরী, মাধুকরী
মধুকরী – স্ত্রী মৌমাছি, স্ত্রী ভ্রমর, ভ্রমরী, মধুকর শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ
মাধুকরী – ভিক্ষাবৃত্তি
মরা, মড়া
মরা – প্রাণত্যাগ করা
মড়া – মরদেহ, শব
মরু, মেরু
মরু – মরুভূমি
মেরু – পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তদেশ। চুম্বকের দুই প্রান্ত
মরুদ্বিপ, মরুদ্বীপ
মরুদ্বিপ – উট
মরুদ্বীপ – মরূদ্যান, oasis
মরুকরণ, মেরূকরণ
মরুকরণ – মমুভূমিতে পরিণতকরণ
মেরূকরণ – দুটি বিপরীত বা বিরোধী গোষ্ঠীতে বিভাজন, polarization
মসুরি, মসূরী
মসুরি – মসুর ডাল
মসূরী – মসূরিকা, গুটিবসন্ত, বসন্তরোগ
মহদাশয়, মহদাশ্রয়
মহদাশয় – মহানুভব, উন্নতমনা, উদারচিত্ত
মহদাশ্রয় – মহতের আশ্রয়
মহামাত্য, মহামাত্র
মহামাত্য – প্রধানমন্ত্রী
মহামাত্র – ধনবান ব্যক্তি। মাহুত
মহিষ, মহীশ, মাহিষ, মাহিষ্য
মহিষ – মোষ
মহীশ – রাজা, নৃপতি
মাহিষ – মহিষসম্বন্ধীয়। মহিষের দুগ্ধজাত
মাহিষ্য – মহিষসম্বন্ধীয়। মহিষের দুগ্ধজাত
মহেশ, মাহেশ
মহেশ – মহাদেব, শিব
মাহেশ – শিবের উপাসক। শিবসম্বন্ধীয়
মড়ক, মোড়ক
মড়ক – মহামারী (পৃ:১০৯২ এ মূল ভুক্তির বানান মহামারি, পৃ:১০৬৮ মড়ক অর্থে মহামারী)
মোড়ক – আবরক, ঠোঙা, প্যাকেট
ময়ূর, মায়ূর
ময়ূর – পাখিবিশেষ, কেকী, শিখী
মায়ূর – ময়ূর সংক্রান্ত
মাগি, মাঘী
মাগি – (অশিষ্ট অর্থে) প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীলোক
মাঘী – মাঘমাসসংক্রান্ত, মাঘমাসের
মাছ, মাষ, মাস
মাছ – মৎস্য, মীন
মাষ – ডাল বা কলাইবিশেষ
মাস – বছরের বারো ভাগের একভাগ
মাঠা, মাথা
মাঠা – মাখন তোলা ঘোল
মাথা – মস্তক, শির। শীর্ষদেশ, অগ্রভাগ
মানস, মানুষ
মানস – মন, চিত্ত
মানুষ – মানব, মনুষ্য
মানসিক, মানুষিক
মানসিক – মনোগত। কল্পনাপ্রসূত
মানুষিক – মানবীয়। মানুষসংক্রান্ত
মার, মাড়
মার – প্রহার, আঘাত
মাড় – ভাতের ফেন
মারা, মাড়া
মারা – প্রহার করা, আঘাত করা
মাড়া – মর্দন করা, পেষণ করা
মিছা, মিশা
মিছা – মিথ্যা
মিশা – মিশ্রিত হওয়া
মিছামিছি, মিশামিশি
মিছামিছি – বিনা কারণে, অনর্থক, বৃথা
মিশামিশি – সংসর্গ। ঘনিষ্ঠতা
মিলন, মীলন
মিলন – সংযোগ, সন্ধি
মীলন – মুদিতকরণ। সংকোচন
মিলিত, মীলিত
মিলিত – সমবেত। যৌথ। মিশ্রিত
মীলিত – মুদিত। সংকুচিত
মুক্তা, মোক্তা
মুক্তা – রত্ন, মোতি, pearl
মোক্তা – একীভূত, একত্রিত। নির্ধারিত
মুর, মোর
মুর – উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার কৃষ্ণকায় জাতিবিশেষ, Moor
মোর – (পদ্যে) আমার
মুড়া, মোরা, মোড়া
মুড়া – মুণ্ড, মাথা। অগ্রভাগ, প্রান্ত। আবৃত বা বেষ্টিত করা
মোরা – (কাব্যে) আমরা
মোড়া – বাঁশ বেত প্রভৃতির তৈরি টুলজাতীয় গোলাকার ছোটো আসনবিশেষ। মুণ্ডিত করা। আবৃত করা, জড়ানো
মুষা, মুসা
মুষা – ধাতু গলানোর জন্য ব্যবহৃত উচ্চ তাপসহ মাটির ছোটো পাত্র
মুসা – তৌরাত কিতাবপ্রাপ্ত নবি
মুলা, মূলা
মুলা – সবজিবিশেষ
মূলা – কক্ষপথে চন্দ্রের গতি নির্ণয়ের জন্য ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যায় মহাকাশে চিহ্নিত ২৭টি নক্ষত্রের ঊনবিংশ নক্ষত্র
মূষ, মোচ, মোষ
মূষ – মূষিক, ইঁদুর
মোচ – গোঁফ
মোষ – ‘মহিষ’-এর কথ্য রূপ
মেষ, মেস
মেষ – ভেড়া
মেস – আহার ও বসবাসের বারোয়ারি স্থান
মোগল, মোঙ্গল
মোগল – মঙ্গোলিয়া থেকে বাবরের নেতৃত্বে ভারতে আগত সাম্রাজ্য স্থাপনকারী জাতিবিশেষ। মঙ্গোলিয়ার অধিবাসী
মোঙ্গল – মঙ্গোলিয়ার অধিবাসী
রণশয্যা, রণসজ্জা
রণশয্যা – যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ উৎসর্গ
রণসজ্জা – যুদ্ধের প্রস্তুতি, সমরসজ্জা
রশনা, রসনা
রশনা – মহিলাদের কোমরের অলংকার, কটিভূষণ
রসনা – জিহ্বা
রসাভাষ, রসাভাস
রসাভাষ – রসপূর্ণ বাক্যবিনিময়। প্রেমালাপ
রসাভাস – রস সৃষ্টির ব্যর্থ প্রয়াস, রসের অস্পষ্ট প্রকাশ
রসাল, রসালো
রসাল (উচ্চারণ রসাল্) – আমগাছ
রসালো – রসে ভরা, সরস। রসপূর্ণ
রাশ, রাস, হ্রাস
রাশ – লাগাম, বল্গা। রাশি, স্তূপ, গাদা
রাস – কার্তিক মাসের পূর্ণিমায় গোপিনীদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের নৃত্যলীলা, রাসযাত্রা, রাসলীলা
হ্রাস – হ্রস্বতা, ঘাটতি, কমতি
রাড়, রাঢ়
রাড় – গোঁয়ার। ইতর, নীচ
রাঢ় – ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের অংশ
রাঁধা, রাধা
রাঁধা – রান্না করা
রাধা – শ্রীকৃষ্ণের প্রমিকা, রাধিকা
রুজ, রোজ
রুজ – গণ্ডদেশ রাঙানোর প্রসাধনীবিশেষ, rouge
রোজ – প্রতিদিন। তারিখ, দিন
রুদ্ধ, রুদ্র
রুদ্ধ – বন্ধ। প্রতিহত, বাধাপ্রাপ্ত। অবরুদ্ধ, আটক। চাপা
রুদ্র – উগ্র। সংহারক
রুপা, রোপা
রুপা – রৌপ্য, রুপো, রজত, চাঁদি
-রূপা – রূপবিশিষ্টা (যেমন:- অপরূপা)
রোপা – রোপণ করা, রোয়া, মাটিতে পোঁতা
রুপি, রূপী
রুপি – ভারত পাকিস্তান নেপাল শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি কয়েকটি দেশের মুদ্রার একক
রূপী – রূপধারী, বেশধারী
রুম, রোম
রুম – কামরা, ঘর, room
রোম – লোম, কেশ। ইতালির রাজধানী, Rome
রূপণ, রোপণ
রূপণ – বর্ণন। নুরূপণ। অভিনয়
রোপণ – গাছের চারা লাগানো। স্থাপন
রেজিস্টার, রেজিস্ট্রার
রেজিস্টার – নিবন্ধনের খাতা, register
রেজিস্ট্রার – নিবন্ধক, registrar
রেত, রেতঃ
রেত – তীব্র স্রোত বা জলপ্রবাহ
রেতঃ (উচ্চারণ রেতোহ্) – বীর্য, শুক্র
রেশ, রেষ, রেস
রেশ – বিলীয়মান অনুভূতি। আভাস
রেষ – দ্বেষ, আক্রোশ, ঈর্ষা
রেস – দৌড় প্রতিযোগিতা, race
রোদ, রোধ
রোদ – সূর্যের কিরণ বা তাপ
রোধ – বাধা সৃষ্টি। অবরোধ
লক্ষ, লক্ষ্য
লক্ষ – খেয়াল। লাখ
লক্ষ্য – উদ্দেশ্য। কাম্য বস্তু বা বিষয়, তাক, target
লক্ষণ, লক্ষ্মণ
লক্ষণ – চিহ্ন, নিদর্শন, পরিচয়। আভাস
লক্ষ্মণ – রামায়ণে বর্ণিত রামচন্দ্রের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা, সুমিত্রার পুত্র
লাঙল, লাঙুল
লাঙল – জমি চাষের উপকরণবিশেষ
লাঙুল – লেজ, পুচ্ছ
লাঠি, লাথি
লাঠি – দণ্ড, যষ্টি
লাথি – পদাঘাত
লাঠালাঠি, লাথালাথি
লাঠালাঠি – পরস্পর লাঠি দিয়ে আঘাত
লাথালাথি – পরস্পর পদাঘাত
লালিত, লালিত্য
লালিত – লালন করা হয়েছে এমন, প্রতিপালিত, পোষিত
লালিত্য – ললিত ভাব, শোভা, সৌন্দর্য। মধুরতা
লাশ, লাস
লাশ – শব, মরদেহ
লাস – লাস্য
লুটা, লোটা
লুটা – লুণ্ঠন করা। ভূলুণ্ঠিত হওয়া
লোটা – জলপাত্রবিশেষ, ঘটি। লুণ্ঠন করা। ভূলুণ্ঠিত হওয়া
লেবেল, লেভেল
লেবেল – শিশি বোতল বা মোড়কের গায়ে লাগানো পরিচয়জ্ঞাপক মার্কা, label
লেভেল – স্তর, ধাপ, level
লেশ, লেস
লেশ – অত্যন্ত অল্প পরিমাণ, কণা
লেস – জামাকাপড়ে লাগানো নকশাকরা পাড়। চুল বাঁধার সরু ফিতা, lace
শকল, সকল
শকল – মাছের আঁশ
সকল – সমস্ত, সব, সমুদয়
শক্ত, সক্ত
শক্ত – সমর্থ, কর্মক্ষম। পটু, দক্ষ, বিচক্ষণ। কঠিন। কঠোর, নির্মম, স্থির। অনড়, দৃঢ়। জটিল, দুর্বোধ্য
সক্ত – আসক্ত। সংলগ্ন। অনুরক্ত
শক্তি, সক্তি
শক্তি – ক্ষমতা, সামর্থ্য, বল
সক্তি – আসক্তি। সংলগ্ন অবস্থা। অনুরক্তি
শয্যা, সজ্জা
শয্যা – বিছানা
সজ্জা – বেশভূষা
শঠ, ষট, সট, সৎ
শঠ – ধূর্ত, প্রতারক
ষট্ – ছয় সংখ্যা। ছয় সংখ্যক
সট – অতিশয় দ্রুততা বা ক্ষিপ্রতার ভাব (সট করে সরে পড়া)
সৎ – উত্তম, শুভ। সাধু। সতিনের সূত্রে সম্পর্কিত
শতপথ, শপথ, সুপথ
শতপথ – যজুর্বেদের ব্রাহ্মণবিষয়ক আংশবিশেষ
শপথ – প্রতিজ্ঞা, দিব্যি, কসম
সুপথ – উত্তম পথ, সদুপায়
শপ্ত, সপ্ত
শপ্ত – অভিশাপ দেওয়া হয়েছে এমন, শাপগ্রস্ত
সপ্ত – ৭ সংখ্যা। ৭ সংখ্যক
শফর, সফর
শফর – পুঁটিমাছ
সফর – ভ্রমণ, যাত্রা। হিজরি পঞ্জিকার দ্বিতীয় মাস
শব, সব
শব – মৃতদেহ, লাশ
সব – সকল
শবর, সবুর
শবর – ব্যাধ, কিরাত, নিষাদ
সবুর – অপেক্ষা, বিলম্ব, দেরি। ধৈর্য
শব্দবেধী, শব্দভেদী
শব্দবেধী – শব্দ শুনে লক্ষ্য ভেদ করতে পারে এমন
শব্দভেদী – শব্দ অনুসরণে লক্ষ্যভেদে সমর্থ
শম, সম
শম – সংযম
সম – যোগ্য, তুল্য, সমান
শমন, সমন
শমন – দমন। প্রশমন, শান্তি স্থাপন
সমন – আদালতে হাজির হওয়ার আদেশনামা, পরোয়ানা, summons
শমি, শমী
শমি – সাঁই গাছ
শমী – সংযমী। শান্ত
শর, সর, স্বর
শর – তির, বাণ, শায়ক। নলখাগড়া উদ্ভিদ
সর – দুধ বা দইয়ের ওপরের পাতলা আবরণ। (তুচ্ছার্থে) সরে যা
স্বর – গলার আওয়াজ। স্বরবর্ণ
শরণ, সরণ, স্মরণ
শরণ – আশ্রয়স্থান
সরণ – চলন, গমন, রাস্তা
স্মরণ – স্মৃতি, কল্পনা
শর্করা, সড় করা
শর্করা – carbohydrate
সড় করা – গোপনে পরামর্শ করা
শলভ, সলভ
শলভ (উচ্চারণ শলোভ্) – পঙ্গপাল। ফড়িং
সলভ – সমাধান করা, solve
শশ, সস
শশ (উচ্চারণ শশো) – খরগোশ। চন্দ্রকলা
সস – মুখরোচক টকস্বাদ চাটনিবিশেষ, sauce
শসা, স্বসা
শসা – ক্ষীরা, ক্ষীরিকা
স্বসা – ভগিনী, বোন
শসন, শোষণ, শ্বসন, শাসন
শসন – বধ, হত্যা
শোষণ – তরল পদার্থ শুষে নেওয়ার প্রক্রিয়া, রসাকর্ষণ। অপরের ধনসম্পদ অন্যায়ভাবে হস্তগতকরণ
শ্বসন – শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ, নিশ্বাসপ্রশ্বাস
শাসন – দমন। প্রতিপালন। পরিচালন
শংকর, সংকর
শংকর – শিব। সামুদ্রিক মাছবিশেষ
সংকর – মিশ্রণ। হাইব্রিড, hybrid
শাদি, সাদি
শাদি – বিবাহ
সাদি – অশ্বারোহী। গজারোহী। রথারোহী
শান, শ্বান
শান – যে প্রস্তরখণ্ডে ঘষে অস্ত্রাদি ধারালো করা হয়। পাথর। মাহাত্ম্য। মর্যাদা, গৌরব
শ্বান – কুকুর, শুন, সারমেয়
শান্ত, সান্ত
শান্ত – ধীর, শিষ্ট
সান্ত – অন্ত আছে এমন, সসীম
শাবান, সাবান
শাবান – হিজরি পঞ্জিকার অষ্টম মাস
সাবান – ময়লা দূর করার দ্রব্যবিশেষ
শারি, শাড়ি
শারি – স্ত্রী-শালিক। পাশার গুটিকা
শাড়ি – নারীদের পরিধেয় কাপড়বিশেষ
শাঁস, শ্বাস
শাঁস – ফলের ভেতরের সারভাগ
শ্বাস – নাক দিয়ে ফুসফুসে টেনে নেওয়া বাতাস, প্রশ্বাস
শিউলি, সিউলি
শিউলি – ফুলবিশেষ, শেফালি
সিউলি – রস আহরণের জন্য খেজুর বা তালগাছ কাটা ও গুড় তৈরি যার পেশা, গাছি
শিকড়, শীকর, শিখর
শিকড় – গাছের মূল
শিখর – চূড়া, শীর্ষদেশ, উপরিভাগ
শীকর – জলকণা
শিকার, স্বীকার
শিকার – বধ, মৃগয়া
স্বীকার – সম্মতিদান
শিক্ষণ, শিখন
শিক্ষণ – অধ্যয়ন, শিক্ষাগ্রহণ। হাতেকলমে শিক্ষাদান
শিখন – বিদ্যা গ্রহণ
শিক্ষা, শিখা
শিক্ষা – বিদ্যাচর্চা, অধ্যয়ন
শিখা – শেখা। শিখর। আগুনের শিষ
শিটা, সিটা, সিতা, সীতা
শিটা – গাদ, ক্বাথ, কাইট
সিঁটা – সিটকানো, কুঞ্চিত বা জড়সড়ো হওয়া
সিতা – জোছনা। শর্করা, মিছরি
সীতা – রামচন্দ্রের পত্নী জানকী। জমিতে লাঙল চালনের দাগ
শিরিস, শিরীষ
শিরিস – পশুর হাড় খুর প্রভৃতি সেদ্ধ করে তৈরি আঠাবিশেষ, animal glue
শিরীষ – বৃক্ষবিশেষ
শিষ, শিস
শিষ – ধান গম প্রভৃতি শস্যের শীর্ষ বা অগ্রভাগ। পেনসিলের অগ্রভাগে বেরিয়ে থাকা গ্র্যাফাইট (যা দিয়ে লেখা হয়)
শিস –ঠোঁট কুঞ্চিত করে জিভের সাহায্যে উৎপন্ন বাঁশির মতো তীক্ষ্ণ শব্দ। পাখির ডাক
শিষ্য, শীর্ষ
শিষ্য – ছাত্র। ভক্ত
শীর্ষ – চূড়া, মাথা। অগ্রভাগ
শিয়া, স্বীয়া
শিয়া – ইসলাম ধর্মালম্বীদের সম্প্রদায়বিশেষ
স্বীয়া – স্বামীর প্রতি অনুরক্ত নারী
শুই, সুঁই
শুই – শয়ন করি
সুঁই – সুচ
শুক, শূক, শোক, সুখ
শুক – টিয়াপাখি। শুক্রগ্রহ
শূক – শস্যের সূক্ষ্ম রোঁয়া, শুঁয়া। প্রজাপতির অপরিণত অবস্থা
শোক – প্রিয়জনের মৃত্যু বা বিচ্ছেদজনিত মানসিক বেদনা
সুখ – আনন্দ, তৃপ্তি। আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য
শূকর, শোকর, সুকর
শূকর – চতুষ্পদ প্রাণীবিশেষ, বরাহ
শোকর – উপকারীর উপকার স্বীকার, ধন্যবাদজ্ঞাপন
সুকর – সহজে করা যায় এমন, সহজসাধ্য
শুচি, সূচি
শুচি – পবিত্র, নির্মল, শুদ্ধ, পরিচ্ছন্ন। নির্দোষ
সূচি – নির্ঘণ্ট, index । সুচ
শুচিস্মিতা, সুস্মিতা
শুচিস্মিতা – মৃদু ও নির্মল হাসিযুক্ত, শুচিস্মিত শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ
সুস্মিতা – মৃদু হাস্যযুক্ত, সুস্মিত শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ
শুদ্ধ, সুদ্ধ
শুদ্ধ – নির্ভুল। নির্মল, পবিত্র
সুদ্ধ – সমেত, সহিত। পর্যন্ত
শুনা, শোনা, সূনা, সোনা
শুনা – শোনা শব্দের সাধু রূপ, শ্রবণ করা। কুকুর, সারমেয়, শুনক
শোনা – শ্রবণ করা, কর্ণগোচর হওয়া। পালন করা, মান্য করা (কথা শোনা)
সূনা – বধ্যভূমি, কসাইখানা
সোনা – স্বর্ণ
শুঁড়, সুর, সূর
শুঁড় – হাতির অঙ্গবিশেষ
শোর – উচ্চ রব, কোলাহল, চিৎকার, চেঁচামেচি
সুর – স্বর, ধ্বনি।কণ্ঠস্বর। সূর্য। পণ্ডিত
সূর – সূর্য। পণ্ডিত
শৈত্য, শ্বৈত্য
শৈত্য – শীতলতা, ঠান্ডা ভাব
শ্বৈত্য – শুক্লতা, শুভ্রতা। নির্মলতা
শোচনা, সূচনা
শোচনা – অনুতাপ বা বিলাপ, শোক
সূচনা – ভূমিকা, প্রস্তাবনা
শোচনীয়, সূচনীয়
শোচনীয় – শোকের যোগ্য, দুঃখজনক
সূচনীয় – জ্ঞাপনীয়। কথনীয়
শোণ, শোন, শ্যোন
শোণ – লাল রং। রক্ত। আগুন
শোন – শ্রবণ কর
শ্যোন –
শোধ, সুদ
শোধ – প্রাপ্য। প্রতিশোধ, বদলা
সুদ – কুসীদ, ইন্টারেস্ট, interest
শোধা, সুধা
শোধা – পরিশোধ করা
সুধা – অমৃত
শ্ব, স্ব
শ্ব – কুকুর, সারমেয়, শুন। আগামী দিন
স্ব – আত্ম, স্বয়ং, নিজ
শ্বশ্রূ, শ্মশ্রু
শ্বশ্রূ – শাশুড়ি
শ্মশ্রু – দাড়িগোঁফ
শ্বেতদ্বিপ, শ্বেতদ্বীপ
শ্বেতদ্বিপ – শ্বেতহস্তী, সাদা হাতি
শ্বেতদ্বীপ – পুরাণে বর্ণিত চন্দ্রদ্বীপ। ব্রিটেন
শ্রবণ, স্রবণ
শ্রবণ – শোনার কাজ, শুনন। শ্রবণেন্দ্রিয়, কান
স্রবণ – ক্ষরণ। প্রবাহ, স্রোত
শ্রাদ্ধ, সাধ্য
শ্রাদ্ধ – মৃতের উদ্দেশ্যে কৃত শাস্ত্রবিহিত কর্ম। অপচয়
সাধ্য – সাধনযোগ্য। করণীয়, শক্য। শক্তি, ক্ষমতা
শ্রাবণ, স্রাবণ
শ্রাবণ – বাংলা বর্ষপঞ্জির চতুর্থ মাস। শ্রবণেন্দ্রিয় সম্পর্কিত
স্রাবণ – স্রাব বা ক্ষরণ করায় এমন
শ্রুত, স্রুত, স্রোত
শ্রুত (উচ্চারণ স্রুতো) – শ্রবণ করা হয়েছে এমন
স্রুত – ক্ষরিত, গলিত
স্রোত – প্রবাহ, ধারা
শ্রুতি, স্রুতি
শ্রুতি – শ্রবণ। কান। শোনা কথা, কিংবদন্তি
স্রুতি – ক্ষরণ, গলন
ষণ্নাস, সন্ন্যাস
ষণ্নাস – ছয় মাস
সন্ন্যাস – সংসারত্যাগ
ষণ্মুখ, সম্মুখ
ষণ্মুখ – ছয়মুখবিশিষ্ট, ষড়ানন
সম্মুখ – সমক্ষ, সমুখ, অভিমুখ
ষোড়শ, সরস
ষোড়শ – ১৬ সংখ্যা
সরস – রসযুক্ত, রসালো। রসিক। হ্রদ, সরোবর
সখী, সুখী
সখী – বান্ধবী, বয়স্যা
সুখী – সন্তুষ্ট। সুখভোগে অভ্যস্ত
সজোড়, সজোর
সজোড় – জোড়া-সহ
সজোর – জোরালো
সটীক, সঠিক
সটীক – ব্যাখ্যাযুক্ত, টীকা-সহ
সঠিক – নির্ভুল, প্রকৃত
সনির্বন্ধ, সন্নিবদ্ধ, সন্নিবন্ধ
সনির্বন্ধ – সবিনয়, মিনতিযুক্ত
সন্নিবদ্ধ – গ্রথিত। নিবিষ্ট, অভিভূত
সন্নিবন্ধ – একত্র সংকলন। গ্রন্থন। দৃঢ় বন্ধন
সপত্নী, সপত্নীক
সপত্নী – সতিন
সপত্নীক – সস্ত্রীক
সবাই, সভায়
সবাই – সকলে, প্রত্যেকে
সভায় – সভাতে, সভাস্থলে
সমাবৃত, সমাবৃত্ত
সমাবৃত – সম্পূর্ণভাবে আবৃত, আচ্ছন্ন। বেষ্টিত
সমাবৃত্ত – প্রত্যাগত। সমাগত। সমাপ্ত
সম্পন্ন, সম্পূর্ণ
সম্পন্ন – সম্পৎশালী/সম্পদশালী। আছে এমন, যুক্ত। নিষ্পন্ন, সমাপ্ত
সম্পূর্ণ – সমস্ত, সমগ্র। পরিপূর্ণ। খতম, সমাপ্ত
সরণি, সারণি
সরণি – পথ, রাস্তা, সড়ক। শ্রেণি, সারি, পঙ্ক্তি
সারণি – তালিকা, নির্ঘণ্ট। ছোটো নদী
সরূপ, স্বরূপ
সরূপ – সদৃশ রূপবিশিষ্ট
স্বরূপ – প্রকৃত বা আসল রূপ, নিজের রূপ। স্বাভাবিক অবস্থা
সর্বজনীন, সার্বজনীন
সর্বজনীন – সকলের জন্য কল্যাণকর, সকলের জন্য অনুষ্ঠিত
সার্বজনীন – সকলের মধ্যে প্রবীণ
সলিল, সলীল
সলিল – পানি, বারি
সলীল – লীলাযুক্ত, সুন্দর ভঙ্গিযুক্ত। সাবলীল, স্বচ্ছন্দ
সহিত, স্বহিত
সহিত – (প্রধানত সাধুভাষায় ব্যবহৃত) সংযুক্ত, সমন্বিত। সংশ্লিষ্ট। সঙ্গে। হিতকর
স্বহিত (উচ্চারণ শহিতো) – নিজের মঙ্গল
সংগঠন, সংঘটন
সংগঠন – সম্যক গঠন। সুচারুরূপে গঠিত প্রতিষ্ঠান বা সংঘ
সংঘটন – যোজন। ঘটানোর কাজ। ঘটনা
সংগঠিত, সংঘটিত
সংগঠিত – সুচারুরূপে গঠন করা হয়েছে এমন, নির্মিত
সংঘটিত – ঘটেছে বা ঘটানো হয়েছে এমন। অনুষ্ঠিত
সংবিৎ, সংবীত, সংবৃত, সংবৃত্ত
সংবিৎ – চেতনা, জ্ঞান। বোধ, উপলব্ধি। প্রতিজ্ঞা
সংবীত (উচ্চারণ শংবিতো) – বেষ্টিত, বলয়িত। বিগত
সংবৃত (উচ্চারণ শংবৃতো) – আবৃত, আচ্ছাদিত। গুপ্ত, অপ্রকাশিত। সংকুচিত
সংবৃত্ত – নিষ্পন্ন, সম্পাদিত। উৎপন্ন, জাত
সংবৃতি, সংবৃত্তি
সংবৃতি – সংবৃত অবস্থা। সংবরণ। আচ্ছাদন। গোপনতা
সংবৃত্তি – সম্পাদন, সংঘটন। উৎপাদন, জন্ম
সংযত, সংযাত
সংযত – নিয়ন্ত্রিত, বশীভূত। প্রশমিত। পরিমিত। শান্ত, বিনীত
সংযাত – অনুচর, সহযাত্রিক
সংশয়, সংশ্রয়
সংশয় – সন্দেহ। দ্বিধা
সংশ্রয় – আশ্রয়, অবলম্বন, সহায়
সাক্ষর, স্বাক্ষর
সাক্ষর – অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। অক্ষরযুক্ত। অল্পশিক্ষিত
স্বাক্ষর – সই, দস্তখত
সাদা, সাধা
সাদা – শ্বেত, শুভ্র, শ্বেতকায়। সরল, অকপট। অলংকারহীন। সহজ, স্পষ্ট
সাধা – সম্পাদন বা সাধন করা। অনুরোধ করা
সাদা রং, সাধারণ
সাদা রং – শ্বেত রং, শুভ্র রং
সাধারণ – গতানুগতিক, বৈচিত্র্য়হীন। সর্বজনীন। সামান্য। গুরুত্বহীন
সাম্য, সৌম্য
সাম্য – সমতা, একতা। সমরূপতা, সাদৃশ্য
সৌম্য – প্রশান্ত, ধীর, স্থির। মনোরম, মনোহর
সার্থ, স্বার্থ
সার্থ – তাৎপর্যপূর্ণ, অর্থপূর্ণ। সঙ্গী, সাথি
স্বার্থ – নিজ প্রয়োজনের বিবেচনা। নিজের মঙ্গল বা হিত
সিটি, সিতি, স্মৃতি
সিটি – বাঁশির সংকেত, শিস, ভোঁ। নগর, বড়ো শহর, city
সিতি – সাদা কালো বা নীল বর্ণের
স্মৃতি – অতীত বিষয় স্মরণ। মনে রাখার ক্ষমতা
সীমন্ত, সীমান্ত
সীমন্ত – সিঁথি, টেড়ি। মস্তক, শির
সীমান্ত – কোনো দেশ বা রাজ্যের প্রান্তভাগ
সুকৃতি, সুকৃতী
সুকৃতি – পুণ্যকর্ম। মঙ্গল, সৌভাগ্য
সুকৃতী – পুণ্যবান। সৌভাগ্যের অধিকারী
সুগঠিত, সুঘটিত
সুগঠিত – সুন্দর আকৃতিবিশিষ্ট, উত্তমরূপে নির্মিত
সুঘটিত – যুক্তিসংগত। উত্তমরূপে কল্পিত
সুতি, সূতি
সুতি – কার্পাস সুতোর তৈরি
সূতি – জন্ম, প্রসব
সুদি, সুঁদি
সুদি – শুক্লপক্ষ
সুঁদি – শাপলা। কুমুদ
সুদিন, সুদীন
সুদিন – শুভদিন, সুখের সময়। সৌভাগ্যের উদয়, ভালো সময়
সুদীন – অত্যন্ত দরিদ্র
সুপঠ, সুপথ
সুপঠ – সুখপাঠ্য। সহজে পড়া যায় এমন, legible
সুপথ – উত্তম পথ, সদুপায়
সুপ্ত, সুষুপ্ত
সুপ্ত – অব্যক্ত, প্রচ্ছন্ন
সুষুপ্ত – গভীর নিদ্রায় মগ্ন
সুবাস, সুভাষ, সুভাস
সুবাস – সুরভি। উত্তম নিবাস
সুভাষ – মধুরভাষী। সুবচন
সুভাস – উজ্জ্বল, দীপ্তিময়
সুবাসিত, সুভাষিত
সুবাসিত – সুরভিত
সুভাষিত – সুন্দরভাবে ব্যক্ত। বাক্পটু। মিষ্টভাষী
সুরট, সুরত
সুরট – রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরে গেয় সংগীতের রাগিণীবিশেষ। ভারতের নগরবিশেষ
সুরত – চেহারা, আকৃতি। ধরন, ঢং। অবস্থা
সুষম, সুসম
সুষম – সংগতিপূর্ণ, সমতাযুক্ত। যথোপযুক্ত খাদ্য-উপাদানবিশিষ্ট। শোভন
সুসম – সুসমঞ্জস
সুস্ত, সুস্থ
সুস্ত – অলস
সুস্থ – নীরোগ। শান্ত, সুস্থির
সেঁউতি, সেঁওতি
সেঁউতি – নৌকার পানি সেচার জন্য ব্যবহৃত পাত্র
সেঁওতি – সাদা গোলাপের প্রজাতিবিশেষ
স্কন্দ, স্কন্ধ
স্কন্দ – পুরাণোক্ত দেবসেনাপতি কার্তিকেয়
স্কন্ধ – কাঁধ, গর্দান
স্তম্ব, স্তম্ভ
স্তম্ব – ধান প্রভৃতি গাছের ডাঁটা। কণ্ডশূন্য উদ্ভিদ। তৃণগুচ্ছ
স্তম্ভ – খুঁটি, ঘরের থাম
স্তৈন/স্তৈন্য, স্ত্রৈণ
স্তৈন, স্তৈন্য – চৌর্যবৃত্তি, চুরি
স্ত্রৈণ – স্ত্রীর বশীভূত। নারীবিষয়ক
স্থিরচিত্ত, স্থিরচিত্র
স্থিরচিত্ত – বিচলিতচিত্ত নয় এমন, নিরুদ্বিগ্ন
স্থিরচিত্র – চলমান নয় এমন চিত্র
স্মার্ট, স্মার্ত
স্মার্ট – করিতকর্মা, চটপটে, smart
স্মার্ত (উচ্চারণ শাঁর্তো) – স্মৃতিশাস্ত্র-সম্পর্কিত। স্মৃতিশাস্ত্রজ্ঞ
হাঁড়া, হারা
হাঁড়া – মাটির বড়ো পাত্র, ছোটো জালা। ধাতু বা মাটির তৈরি বড়ো কলসি
হারা – পরাজিত হওয়া, পরাজয় বরণ করা
হাট, হাত
হাট – সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে ক্রয়বিক্রয়ের স্থান
হাত – বাহু, ভুজ, হস্ত, কর
হাঁটা, হাতা
হাঁটা – হেঁটে চলা, পদক্ষেপ করা
হাতা – জামার আস্তিন
হাঁটাহাটি, হাতাহাতি
হাঁটাহাঁটি – বারবার হেঁটে যাতায়াত, পায়চারি
হাতাহাতি – মারামারি
হাতকড়া, হাত করা
হাতকড়া – আসামিকে আটক রাখার উদ্দেশ্যে তালাচাবিযুক্ত হাতে পরানোর লোহার বলয়বিশেষ
হাত করা – বশে আনা, আয়ত্ত করা। হস্তগত করা
হাত ধরা, হাতে ধরা
হাত ধরা – হাত ধারণ করা। নির্ভর করা
হাতধরা – বশীভূত, অধীন, বশবর্তী
হাতে ধরা –
হাস, হাঁস
হাস – হাস্য। উপহাস
হাঁস – হংস
হিংস্য, হিংস্র
হিংস্য – হিংসার উপযুক্ত, হিংসাযোগ্য
হিংস্র – হিংসার প্রকৃতিবিশিষ্ট, আক্রমণের প্রবৃত্তিযুক্ত