বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত দিবসসমূহ

সর্বশেষ আপডেট:

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বছরব্যাপী বিভিন্ন দিবস পালিত হয়ে থাকে। এ রকম কয়েকটি দিবস নিয়েই আজকের আয়োজন। উল্লেখ্য যে, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ সালে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ৮টি দিবস বাতিল করে। এর মধ্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস, ১৭ মার্চ: জাতীয় শিশু দিবস ও ১৫ আগস্ট: জাতীয় শোক দিবস রয়েছে।

১০ জানুয়ারি: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (PIA) এক বিশেষ বিমানে করে লন্ডনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ লন্ডন থেকে ঢাকা  আসার পথে দিল্লিতে যাত্রাবিরতি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিল্লি বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানান ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী। দুপুর ২:২৬ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রেসকোর্স ময়দানে গিয়ে লক্ষ জনতার সমাবেশে অশ্রুসিক্ত নয়নে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।

১৩ ফেব্রুয়ারি: কৃষিবিদ দিবস

১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সভায় কৃষিবিদদের সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের সময় প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যা এদেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদদের জন্য ছিলো ঐতিহাসিক মাইলফলক।

কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ঘোষণাকালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আন্দোলন করছিস বলে আমি দাবি মেনে নিলাম তা নয়, আমি চাই ভালো ছাত্রছাত্রী কৃষি পড়ুক’ আমি তোদের দাবি মেনে নিলাম তোরা আমার মুখ রাখিস।” (সূত্র: বঙ্গবন্ধু ও কৃষিবিদ দিবস)

দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ‘কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’ (KIB)-এর তৎকালীন মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের একান্ত চেষ্টায় ১৩ ফেব্রুয়ারিকে ‘কৃষিবিদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করছে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন। (সূত্র: কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের বিজ্ঞপ্তি)

১ মার্চ: জাতীয় বীমা দিবস

১৯৬০ সালের ১ মার্চ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ‘ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রোলার’ হিসেবে যোগদান করেন। একমাত্র এটিই ছিলো রাজনীতির বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানে তাঁর চাকরি করা। বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করা হয়।

আগে ১ অক্টোবর পালিত হতো। ২০২০ সাল থেকে ১ মার্চ পালিত হচ্ছে। দিবসটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ প্রতিবছরের ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯ সালের ১ মার্চ প্রথম জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয়। পরবর্তীতে ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করায়, ভোটার দিবসের তারিখ পরিবর্তন করে ২ মার্চ করা হয়।

৭ মার্চ: জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস

৭ মার্চ ১৯৭১ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষণে তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন-বঞ্চনার শিকার বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঙ্ক্ষিত বিজয় ছিনিয়ে আনে। তাই দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে ১৯ জুলাই ২০২০ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়। দিবসটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত।

১৭ মার্চ: জাতীয় শিশু দিবস

১৯৯৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করে। প্রথমে দিনটিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করলেও পরবর্তীতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। দিবসটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত।

২৩ মার্চ: জাতীয় পতাকা দিবস

২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে এদিন দেশের সর্বত্র সবুজ জমিনে লাল বৃত্তের মাঝে সোনালি মানচিত্র আঁকা স্বাধীন বাংলার পতাকা তোলা হয়। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম নিজ হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ধানমন্ডিতে তাঁর নিজ বাসভবনে।

২৩ মার্চ তখন পাকিস্তান দিবস বা লাহোর প্রস্তাব দিবস হিসেবে পালিত হতো। ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত এই দিনটি পাকিস্তানের পতাকায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকত রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, দোকানপাটসহ সব। কিন্তু একাত্তরে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইশতেহারের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ২৩ মার্চ থেকে পাকিস্তানের পতাকার পরিবর্তে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়বে।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও প্রথম পতাকা উত্তোলন হয়েছিলো ২ মার্চ ১৯৭১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগ্রামী ছাত্রসমাজের উদ্যোগে কলাভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ডাকসুর সহসভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

২৬ মার্চ: স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস

২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর শুরু করে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। এমন অবস্থায় রাত ১২:২০ মিনিটে (২৬ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, যা বাংলাদেশের সর্বত্র ওয়ারলেস, টেলিফোন ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্রেরিত হয়। দিবসটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত।

৩ এপ্রিল: জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস

৩ এপ্রিল ১৯৫৭ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে তৎকালীন শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান The East Pakistan Film Development Corporation Bill, 1957 উত্থাপন করেন, যা পাসের মাধ্যমে জন্মলাভ করে বর্তমান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেমন (BFDC)। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বিএফডিসি প্রতিষ্ঠার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ৩ এপ্রিলকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ ঘোষণা করা হয় ২৯ মার্চ ২০১২। দিবসটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত।

১৭ এপ্রিল: মুজিবনগর দিবস

মুক্তিযুদ্ধের কিছুদিনের মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার, যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান মুজিবনগর উপজেলা) গ্রামের আমবাগানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলো। শেখ মুজিবুর রহমান এই সরকারের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। কিন্তু তিনি তখন পাকিস্তানে কারাগারে বন্দী। তাঁর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশে ও বিদেশে এই যুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ও সমর্থন আদায় করার ক্ষেত্রে এই সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সরকার গঠনের পর থেকে অগণিত মানুষ দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দিবসটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত।

৪ জুন: জাতীয় চা দিবস

Pakistan Tea Act, 1950’র অধীনে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ তৎকালীন পাকিস্তান টি বোর্ড গঠন করা হয়। ৪ জুন ১৯৫৭ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে চা বোর্ডে যোগ দেন। ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত তিনি ঐ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। চা শিল্পে তাঁর যুগান্তকারী অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর চা বোর্ডে দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয় ২০ জুলাই ২০২০। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো পালিত হয়। দিবসটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত।

৭ জুন: ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস

স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধীদলসমূহের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরে তিনি ছয় দফার পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে বাংলার গ্রামগঞ্জে গিয়ে জনসভা, গণসংযোগ করেন। ধীরে ধীরে ছয় দফা এ দেশের আপামর জনগণের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এতে ভীত হয়ে পড়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন আওয়ামী লীগের ডাকে পূর্ব বাংলায় হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। হরতাল চলাকালে পুলিশ ও ইপিআর-এর গুলিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হক সহ অন্তত ১১ জন শহীদ হন। দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। ছয় দফা হয়ে ওঠে বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ছয় দফার পথ ধরেই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যায়।

৯ আগস্ট: জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস

দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বঙ্গবন্ধু ৯ আগস্ট ১৯৭৫ তৎকালীন ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েল-এর নিকট থেকে তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ – এ ৫টি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। জ্বালানি খাতে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ৯ আগস্টকে ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ ঘোষণা করা হয় ৯ আগস্ট ২০১০। দিবসটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত।

১৫ আগস্ট: জাতীয় শোক দিবস

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাসায় কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। ১৯৯৬ সালে ১৫ আগস্টকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করা হয়। দিবসটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত।

কৃতজ্ঞতা:

  • কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, সেপ্টেম্বর ২০২০, পৃষ্ঠা ২৭
  • কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, আগস্ট ২০২০, পৃষ্ঠা ১৭
  • কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, নভেম্বর ২০২০, পৃষ্ঠা ১৬
  • বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।