বিদ্যুৎ খরচ কমানোর উপায়

সর্বশেষ আপডেট:

আমরা অনেকেই বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে গরমকালে তো কথাই নেই। পাল্লা দিয়ে বাড়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার। আর সেই সাথে বাড়ে বিদ্যুৎ বিল। তাই বিদ্যুৎ খরচ কমাতে মিতব্যয়ী হওয়ার ও অহেতুক অপচয় রোধ করার কোনো বিকল্প নেই।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের প্রথম ও প্রধান ধাপ হলো সচেতন হওয়া ও অপচয় কমানো। এতে করে একদিকে যেমন ব্যক্তিগত অর্থের সাশ্রয় হবে, তেমনি তা দেশের উন্নতিতে অবদান রাখবে। আমাদের কিছুটা সচেতন বিদ্যুৎ ব্যবহারই পারে অন্য কারও বাসায় বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে। তাছাড়া বিদ্যুতের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমালে পরিবেশও অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জাম ব্যবহার করা:

প্রচলিত ফিলামেন্টের বাতির তুলনায় এনার্জি সেভিং বাল্ব, সিএফএল বা এলইডি বাতি ব্যবহার করা হলে বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক কমে আসে। যেখানে প্রচলিত একটি বাতি একশো ওয়াট ব্যবহার করে, সেখানে একটি এনার্জি বাতি ব্যবহার করে মাত্র ২৫ ওয়াট। প্রথমদিকে বাতির ক্রয়মূল্য বেশি হলেও এগুলো দীর্ঘদিন সেবা দেয় এবং বিলের হিসাবে অনেক বেশি সাশ্রয়ী হয়।

একইভাবে ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় ল্যাপটপ কম্পিউটার অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

এছাড়াও ইনভার্টারযুক্ত ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।

সঠিক ও মানসম্মত পণ্যের পরিমিত ব্যবহার:

কম দামে কেনা নিম্নমানের সরঞ্জাম অনেক সময় বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তাই ভালোমানের পণ্য ব্যবহার করতে হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিং দেখে কিনতে হবে। যেসব যন্ত্রের স্টার রেটিং যতো বেশি, তদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষমতাও ততো বেশি।

একইভাবে উপযুক্ত মাপের/মাত্রার পণ্যটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন, শোবার ঘরে হয়তো ১৫ ওয়াটের একটি এলইডি বাল্ব হলেই চলে। সেখানে আরো বেশি ওয়াটের বাল্ব ব্যবহার করা কিংবা একাধিক বাল্ব ব্যবহার করার কোনো যুক্তি নেই। আবার বাথরুমের জন্যে হয়তো ৭ ওয়াটের বাল্বই যথেষ্ট। একইভাবে ঘরের আয়তন অনুযায়ী এসি ব্যবহার করতে হবে। অযথা বড় এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ তো বেশি হবেই।

বিদ্যুৎ বিল কমানোর আরেকটি উপায় হলো এসি, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদির পরিমিত ব্যবহার।

বিদ্যুতের সংযোগ ও তারের ওপর বিদ্যুতের বিল অনেক সময় নির্ভর করে। খারাপ মানের তার হলে, সংযোগ দুর্বল বা নড়বড়ে হলে সেটি লো ভোল্টেজের সৃষ্টি করে, ফলে বিলও বেড়ে যায়। বছরে অন্তত একবার এসব পরীক্ষা করতে হবে।

অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ রাখা:

একটানা অথবা ঘনঘন ব্যবহৃত হয় না এমনসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার শেষে পুরোপুরি আনপ্লাগ করতে হবে।

  • ফ্যান, বাতি, টিভি, কম্পিউটার, ওভেন, ইস্ত্রি ইত্যাদি ব্যবহার না করলে এগুলোর সুইচ বন্ধ করে কিংবা প্লাগ খুলে রাখতে হবে। অনেক সময় বাথরুম বা বারান্দার লাইট জ্বলে থাকে। সেটি যাতে না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।
  • মোবাইল ফোন চার্জ করা হয়ে গেলে, অবশ্যই চার্জারের সুইচ বন্ধ করতে হবে।
  • অনেক সময় এসি, টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদি রিমোট বা সুইচ চেপে Standby/Sleep মোডে রাখলেও কিছু কিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার করতেই থাকে। তাই এগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার না করলে আনপ্লাগ করে রাখতে হবে।

পুরোনো যন্ত্রপাতি এড়িয়ে চলা:

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যতো বেশি পুরনো হতে থাকে, কর্মদক্ষতা ততো কমতে থাকে। ফলে সেগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তাই এগুলো নিয়মিত সার্ভিসিং করাতে হবে। তবে যন্ত্রপাতি খুব বেশি পুরনো হয়ে গেলে সার্ভিসিং করালেও খুব একটা লাভ হয় না। সেক্ষেত্রে সম্ভব হলে পুরোনো যন্ত্রপাতি বদলে নতুন যন্ত্রপাতি কেনা যেতে পারে।

আবার নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রপাতিতে তুলনামূলকভাবে কম বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। যেমন, পুরনো CRT মনিটরের জায়গায় LED মনিটর ব্যবহার করা যেতে পারে।

বহুতল ভবনের সাব-স্টেশন পুরাতন হলে সেটি বেশি বিলের কারণ হতে পারে।

পরিষ্কার রাখা ও নিয়মিত সার্ভিসিং করানো:

নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় পরপর অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করাতে হবে। এতে যন্ত্র ভাল থাকবে ও বিদ্যুৎ কম টানবে।

ডিপ ফ্রিজে বরফ জমতে দেয়া যাবে না। ফ্রিজের ভিতরের গায়ে বরফের আস্তর জমে গেলে ফ্রিজের কর্মদক্ষতা কমে যায়, বাড়ে বিদ্যুৎ খরচ। তাই আধা সেন্টিমিটারের মতো বরফ জমে গেলেই তা পরিষ্কার করে ফেলা ভালো। একইভাবে মাসে অন্তত একবার পুরো ফ্রিজ পরিষ্কার করা যেতে পারে।

রেফ্রিজারেটরের কয়েল পরিষ্কার রাখলে তা চলতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে না। বছরে দুবার করে এটি পরিষ্কার করানো যেতে পারে। একইভাবে এসির ফিল্টারও পরিষ্কার রাখতে হবে। এটা ময়লা থাকলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে।

লোড এবং ডিমান্ড চার্জ যথাসম্ভব কম রাখা:

আমরা বাসাবাড়িতে কম লোডের যন্ত্রপাতি যেমন লাইট-ফ্যান ইত্যাদি থেকে শুরু করে ভারি লোডের যন্ত্রপাতি যেমন পানির মোটর, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। এই বৈদ্যুতিক লোডের একক হলো কিলোওয়াট। যন্ত্রপাতির বৈশিষ্ট্য ও সংখ্যার ওপর লোড বা কিলোওয়াট নির্ভর করে। বেশি লোডের যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে মিটারের কিলোওয়াট বেশি রাখতে হয়। একইভাবে কম লোডের কোনো যন্ত্রপাতি একসাথে অনেকগুলো ব্যবহার করলে, যেমন একসাথে অনেকগুলো ফ্যান চালু থাকলে, বিদ্যুৎ বেশি টানবে এবং সেক্ষেত্রেও মিটারের কিলোওয়াট বেশি রাখতে হয়।

মিটারের কিলোওয়াটের ওপর ডিমান্ড চার্জ নির্ধারিত হয়। কিলোওয়াট বেশি থাকলে, ডিমান্ড চার্জও বেশি আসবে। ফলস্বরূপ বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসবে। অন্যদিকে মিটারের কিলোওয়াটের চেয়ে বেশি লোড ব্যবহার করতে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির লোড ও সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে মিটারের কিলোওয়াট পরিমিত (Optimum) পর্যায়ে রাখতে হবে। সাধারণত যেসব বাসাবাড়িতে শুধু লাইট, ফ্যান, ফ্রিজ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয় সেখানে ১ কিলোওয়াট লোডই যথেষ্ট।

নিচের সারণিতে বাসাবাড়িতে সচরাচর ব্যবহৃত হয় এমন যন্ত্রপাতিগুলোর গড় পাওয়ার রেটিং (ওয়াট) দেয়া হলো। এটি How to Calculate Electrical Load for Home Appliances? – Amplus Solar ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে।

ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিপাওয়ার রেটিং (ওয়াট)
টাংস্টেন ফিলামেন্টের সাধারণ বাল্ব (Incandescent lamp)৪০ – ১৫০
এলইডি বাল্ব৪ – ২৫
এলইডি টিউব লাইট৮ – ৩৬
ফ্লুরোসেন্ট টিউব লাইট১৮ – ৬০
টেবিল ফ্যান৩০ – ৭০
ইন্ডাকশন মোটর সিলিং ফ্যান৬০ – ৮০
কুলার১০০ – ৫০০
এসি (১ টন)৩,৫১৭
রেফ্রিজারেটর/ফ্রিজ১৫০ – ৪০০
কম্পিউটার১০০ – ২৫০
টিভি৬০ – ১২০
স্মার্টফোন চার্জার৪ – ৭
স্পেস হিটার১,০০০ এবং তার বেশি
ওয়াশিং মেশিন৩০০ – ৫০০
মাইক্রোওয়েভ৭০০ – ১,৪০০
কফি মেকার৮০০
টোস্টার ওভেন১,৪০০
ব্লো ড্রায়ার৩০০ – ১,২০০

সীমিত ট্যারিফের মধ্যে থাকা:

বিদ্যুতের মূল্যহারকে (Tariff) ব্যবহারের ভিত্তিতে কয়েকটি ধাপে (Range) বিভক্ত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রতি ইউনিটের মূল্য একেকটি ধাপে একেক রকম। যেমন ডিপিডিসি বা ডেসকোর ট্যারিফ অনুসারে, বাসাবাড়িতে সচরাচর ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষেত্রে (২৩০/৪০০ ভোল্ট), কারো যদি বিদ্যুতের ব্যবহার ৭৫ ইউনিটের মধ্যে সীমিত থাকে, তাহলে বিল আসবে প্রতি ইউনিট ৫.২৬ টাকা হারে। কিন্তু ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিল আসবে ৭.২০ টাকা হারে।

তৃতীয় ধাপ ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে বিল আসবে ৭.৫৯ টাকা হারে। ৩০১ ইউনিট থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বিল আসবে প্রতি ইউনিট ৮.০২ টাকা হারে। ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত বিলের হার ১২.৬৭ টাকা। এর বেশি হলে ইউনিট প্রতি বিল হবে ১৪.৬১ টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুতের ব্যবহার কম ধাপের মধ্যে রাখতে পারলে বিলও কম আসবে।

পিক আওয়ারে বিদ্যুতের সীমিত ব্যবহার:

বিদ্যুৎ ব্যবহারের পিক আওয়ার (Peak hours) হলো বিকেল ৫টা থেকে নিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত। পিক আওয়ারে ইউনিটের দাম অফ-পিক আওয়ারের তুলনায় বেশি। তাই এ সময় যথসম্ভব কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে যেসব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিদ্যুৎ বেশি টানে, সেগুলো অফ-পিক আওয়ারে ব্যবহার করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমানো যায়।

প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের ব্যবহার:

বহুতল ভবনে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো। যেখানে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে বা বেশি লোডশেডিং হয়, তারাও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারি।

পাশাপাশি বাড়ি তৈরির সময়ই তা এমনভাবে করতে হবে যেনো তা দিনের আলো এবং বায়ু প্রবাহের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পরে। যেমন, জানালায় রঙিন কাচের ব্যবহার না করে স্বচ্ছ কাচ লাগালে, ঘর প্রাকৃতিকভাবে আলোকিত হবে। তাতে করে দিনের বেলায় ঘরের ভেতরে বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না।

আবার চার কপাটের জানালা বানানো যেতে পারে। নিচের দুই কপাট সচরাচর বন্ধ থাকবে, এবং উপরের দুই কপাট খোলা থাকবে। ফলে প্রাইভেসি রক্ষার পাশাপাশি আলো-বাতাসও পাওয়া যাবে।

বর্তমান আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলোতে কাপড় শুকানোর সুবিধা রয়েছে। তাই বলে একেবারে নিরুপায় না হলে তাতে কাপড় শুকানো যাবে না। যথাসম্ভব রোদে বা বাতাসে কাপড় শুকাতে হবে।

অভ্যাস পরিবর্তন করে অপচয় রোধ করা:

আমরা কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে পারি। যেমন –

  • ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ও রাতে দ্রুত ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। এতে দিনের আলোর ব্যবহার বাড়বে ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমবে।
  • অযথা টিভি, ফ্যান, কম্পিউটার ইত্যাদি ছেড়ে রাখা কিংবা বাতি জ্বালিয়ে রাখা যাবে না। যেমন, রান্নাঘর ও বাথরুমে পর্যাপ্ত আলো থাকা সত্ত্বেও দিনের বেলা বাতি জ্বালানোর বাজে অভ্যাস বর্জন করা উচিত। তেমনি রাতে বাতি জ্বালিয়ে ঘুমানোর অভ্যাসও ত্যাগ করতে হবে।
  • কাপড় শুকানোর জন্য বৈদ্যুতিক পাখা চালানো যাবে না। কেননা এটাও এক ধরনের অপচয়।
  • রান্নাঘরের অ্যাডজাস্ট ফ্যান সবসময় চালিয়ে না রেখে শুধু রান্নার সময় ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে।
  • বাচ্চারা অনেক সময় সুইচ অন-অফ করার খেলায় মেতে উঠে। ওদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এ রকম করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি অযথা বিদ্যুৎ খরচও হবে না।

যন্ত্রপাতির কৌশলী ব্যবহার:

যন্ত্রপাতির কৌশলী ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটা কমানো সম্ভব।

  • এসির তাপমাত্রা সবসময় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে এসির সাথে সিলিং ফ্যানও চালানো যেতে পারে।
  • নির্দিষ্ট মাত্রায় ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার পর এসি বন্ধ করে দেয়া যায়। এজন্যে এনার্জি সেভিং মোড চালু করে রাখা যেতে পারে।
  • ফ্রিজে খুব গরম খাবার রাখা যাবে না। ঘরের তাপমাত্রায় এনে তারপর ফ্রিজে রাখতে হবে।
  • বাসায় রান্না করা বা খাবার গরম করার ক্ষেত্রে মাইক্রো ওভেন ব্যবহার না করে চুলা ব্যবহার করতে পারেন। স্লো কুকার বা টোস্টার ব্যবহার করা যায়।
  • রান্না করার বেশ কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে পানিতে রেখে বরফ ছাড়িয়ে নেয়া যায়। বারবার মাইক্রোওয়েভ চালিয়ে ডিফ্রস্ট করলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়।
  • কাপড়ে অল্প ময়লা থাকলে তা হাতেই ধুয়ে নেয়া যায়। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধুতে হলে বেশ কিছু কাপড় জমিয়ে একত্রে ধুতে হবে। আবার গরম পানির সেটিং ব্যবহার না করলে বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া চলার কথা ভাবনাতীত। কিন্তু তাই বলে বিদ্যুতের অপচয়কে মেনে নেয়া যায় না। আমাদের সবার উচিত বিদ্যুতের অপচয় ও অপব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক থাকা। আর তাহলেই হবে দেশের সমৃদ্ধি, দশের স্বস্তি এবং পরিবেশের উন্নতি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।